• প্রত্যেক পড়ুয়ার স্কুলব্যাগে গীতা থাকা উচিত,মত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর
    এই সময় | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • প্রত্যেক পড়ুয়ার স্কুলব্যাগে গীতা থাকা উচিত বলে মনে করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। সোমবার,ভোপালের পাশাপাশি উজ্জয়িনীতে শুরু হয় আন্তর্জাতিক গীতা মহৎসবের। সেখানেই এই কথা বলেন তিনি।

    উজ্জয়িনীর দশেরা ময়দানে তিন দিনের আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব শুরু হয়েছে। এই উৎসবের উদ্বোধন করেন করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। সেখানেই তিনি বলেন যে, শ্রীমদ ভগবদগীতা প্রতিটি শিশুর স্কুল ব্যাগে স্থান পাওয়া উচিত। কী কারণে প্রত্যেক পড়ুয়ার ব্যাগে গীতা থাকা উচিত এবং কেন তাদের তা নিয়মিত পড়া উচিত তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি।

    ওই উৎসবের সূচনায় উপস্থিত ছিল পড়ুয়ারাও। সেখানে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং সুদামা একই গুরুকুলে এক সঙ্গে পড়াশোনা করেছিলেন । এটিই দেখায় যে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে কোনও বৈষম্য ছিল না। আজকের পড়ুয়াদের জন্য এটিই সবচেয়ে বড় শিক্ষা।’

    ২০২০ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষা নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, সেখানে স্কুলের পাঠ্যক্রমে গীতা এবং ভগবান কৃষ্ণের ঐশ্বরিক নাটকগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, ‘গীতা কেবল একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। এটি ব্যবহারিক জ্ঞানের একটি বই যা প্রতিটি শিশুর অবশ্যই বহন করা উচিত। কারণ এর মধ্যে জীবনের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।’

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই প্রশিক্ষণরত পুলিশকর্মীদের গীতা পাঠ বাধ্যতামূলক করে বিবৃতি জারি করেছে মধ্যপ্রদেশের সরকার। তাতেই জানিয়ে দেওয়া হয় যে মধ্যপ্রদেশের আটটি পুলিশ টেনিং স্কুলে প্রশিক্ষণরত পুলিশকর্মীদের  রাতে মেডিটেশন সেশন শুরুর আগে ভাগবত গীতা থেকে একটি অধ্যায় পাঠ করতে হবে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই নির্দেশ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।  যদিও বিজেপি এবং মধ্যপ্রদেশের সরকার দাবি করে, গীতা ভারতের সংস্কৃতির অংশ। আর সেই সাংস্কৃতিক ও দার্শনিক ভাবনা থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)