• যৌনকর্মীরা SIR ফর্মে কী লিখবেন? কমিশনের শিবিরেই ভরসা সোনাগাছি সহ ৪ রেডলাইট এলাকার
    আজ তক | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • বাংলায় দ্রুত গতিতে চলছে SIR বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন। আর এই প্রক্রিয়া নিয়েই বিরাট সমস্যায় পড়েছে কলকাতার যৌনকর্মীরা। তাদের ভয় মূলত ডকুমেন্টস নিয়ে। পাশাপাশি SIR ফর্মে কোন আত্মিয়ের নাম লিখবেন, সেটা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন অনেকে। তবে সেই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এসেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। তাদের পক্ষ থেকে ২ ও ৩ ডিসেম্বর কলকাতার ৪ যৌনপল্লিতে বিশেষ SIR শিবির করার কথা ছিল। যদিও সেই দিনটা পিছিয়ে গিয়েছে। কবে শিবির হবে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি বলেই জানা গিয়েছে দুর্বারের সূত্রে।

    কোথায় কোথায় হবে?

    কলকাতার ৪ যৌনপল্লিতে এই শিবির হবে বলে জানা গিয়েছে। আর সেগুলি হল সোনাগাছি, খিদিরপুর, কালীঘাট এবং বউবাজার। এই ৪ জায়গায় ২ এবং ৩ তারিখ ক্যাম্প বসতে চলেছিল বলেই খবর। যদিও সেই দিনগুলি এখন পিছিয়ে গিয়েছে।

    আগেই কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছিল

    এসআইআর প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই কমিশনকে বিশেষ শিবির করার জন্য অনুরোধ করেছিল বিভিন্ন সংগঠন। এই সংগঠনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘সোসাইটি অব হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাকশন’, ‘ঊষা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেড’ এবং ‘আমরা পদাতিক’। এই তিন সংগঠন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে সমস্যার কথা তুলে ধরে চিঠি দেয়। সেখানে ৩ ধরনের সমস্যার উল্লেখ ছিল বলেই খবর।

    আর সেই চিঠিগুলির গুরুত্ব নিশ্চয়ই বুঝেছে কমিশন। তাই তারা বর্তমানে ৪ জায়গায় বিশেষ শিবির করতে চলেছে।

    যতদূর খবর, প্রথমে কমিশন ঠিক করেছিল যে খসড়া ভোটার লিস্ট যবে বেরবে, তারপরই শিবির আয়োজন করা হবে। সেই মতো মৌখিক কথাও হয়েছিল। তবে সংগঠনগুলি কমিশনের এই কথায় খুব একটা রাজি ছিল না। তারা চাইছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই শিবিরগুলি আয়োজন করার। সেই মতো চিঠিও দেওয়া হয় বলে খবর। সেখানে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শিবির করার আবেদন করা হয় কমিশনের কাছে। আর সেই আবেদনেই শেষমেশ সাড়া দিয়েছিল কমিশন। তাদের পক্ষে থেকে ২-৩ ডিসেম্বর শিবিরগুলির আয়োজন করা হবে বলেই ছিল খবর। যদিও সেই শিবিরগুলি এখন হচ্ছে না। তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কোন কোন সমস্যা রয়েছে যৌনকর্মীদের?

    মূলত তিনটি সমস্যার কথা জানা গিয়েছে-

    ১. যৌনপল্লিতে আসার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শেষ হয়ে যায়। ফলে ২০০২-এর ভোটার লিস্ট খুঁজে পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব।

    ২. বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হওয়ায় কমিশন যেই নথি চাইছে, সেগুলি অনেকের কাছেই নেই।

    ৩. অনেকে পরিবারের কাছে পেশা গোপন রাখেন। তাদের পক্ষেও কিন্তু নথি জোগার করা সম্ভব নয়।

    চিন্তা কী কাটবে?

    যদিও বিশেষ শিবির আয়োজনের পরও দুশ্চিন্তা কাটছে না। অনেকেরই প্রশ্ন, ফর্ম ফিলআপ হবে কী করে, কী করে মিলবে ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট? আশা করা যায়, এই সবের উত্তর মিলবে কমিশনের এই শিবিরে।
  • Link to this news (আজ তক)