দিন তিনেক আগে সিদ্দারামাইয়ার বাড়িতে ব্রেকফাস্টে আলোচনায় বসেছিলেন কর্নাটকের দুই বিবাদমান নেতা। সেদিনের মেনুতে ছিল উপমা, ইডিলি এবং কেশরির মতো কন্নড়দের একাধিক পছন্দের খাবার। মঙ্গলবার ওই ব্রেকফাস্টের দ্বিতীয় রাউন্ডের মেনু দেশি চিকেন কারি, ইডলি এবং কফি। এ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় শিবকুমারের পোস্ট, “মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। খাবার টেবিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কংগ্রেসি দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজ্যের উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা করলাম।”
প্রশ্ন হল, দ্বিতীয় রাউন্ডের বৈঠকের শেষেও নিজেদের মধ্যে বিবাদ কি মেটাতে পারলেন দুই বিবাদমান নেতা? প্রথম রাউন্ডের বৈঠক শেষে প্রাথমিক একটা ‘শান্তিচুক্তি’ হলেও মুখ্যমন্ত্রীর পদটি নিয়ে দুই নেতা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ওই ব্রেকফাস্ট টেবিলে শিবকুমার সিদ্দারামাইয়াকে মনে করিয়ে দেন, যে ক্ষমতায় আসার পর আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি ভাগাভাগির ফরমুলা তৈরি হয়েছিল। সিদ্দা নাকি সেটা মনেই করতে পারেননি। তিনি পালটা প্রস্তাব দিয়েছেন, এই পাঁচ বছর নির্বিবাদে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে দেওয়া হোক। ২০২৮ সালে ভোটের আগে শিবকুমারকে মুখ ঘোষণা করে দেওয়া হবে। এবং তাতে তিনি সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করবেন।
সেই প্রস্তাব নাকি ডিকের মনপসন্দ হয়নি। তিনি বলে গিয়েছেন, আড়াই বছরের চুক্তি এখন অস্বীকার করতে পারেন না সিদ্দা। যদিও দুজনেই বল ঠেলেছেন হাইকম্যান্ডের কোর্টে। ঠিক হয়েছে, রাহুল গান্ধী যা বলবেন সেটাই দুই নেতা হাসিমুখে মেনে নেবেন।” এর মধ্যে আবার মল্লিকার্জুন খাড়গে আসরে নেমেছেন। তিনি নাকি সোমবার দুই নেতাকেই জানিয়ে দিয়েছেন, ডিকে শিবকুমারকে তাঁর উপস্থিতিতে কথা দেওয়া হয়েছিল। সেই কথা রাখার সময় এসেছে। তারপরই মঙ্গলবার ব্রেকফাস্টের ‘রাউন্ড টু’ হয়ে গেল। এবার কি মিটবে বিবাদ?