পুলিশের অস্থায়ী গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে টোটো চুরির অভিযোগ, উত্তপ্ত আন্দুল
প্রতিদিন | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: টোটো চুরির অভিযোগ পুলিশের এক অস্থায়ী গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করে সেই বাইকের নম্বর পেল্ট বদলে টোটোটি চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। চুরির অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশকর্মীরা মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বেআইনিভাবে রাখাছিল গাড়িটি। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত হাওড়ার নাজিরগঞ্জ থানার আন্দুল হরেকৃষ্ণনগর।
স্থানীয় এক টোটোচালক দাবি, রবিবার রাত ১টা ৫০ নাগাদ একটি গলির ভেতরে গাড়িটি রেখে বাড়ি গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন গাড়িটি নেই। তিনি দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুজির পর রাতে গাড়িটি খুঁজে পাননি। তাঁর এক বন্ধু বলেন, তিনি পুলিশের লোককে গাড়িটি নিয়ে যেতে দেখেছেন। সোমবার সকালে টোটোচালক থানায় গিয়ে জানতে চান কোনও গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে কি না।
টোটো চালকের দাবি, পুলিশ জানায় কোনও টোটো তুলে আনা হয়নি। তিনি অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে সেই অভিযোগও নেওয়া হয়নি বলে তাঁর দাবি। সোমবার সকালে একজনের মারফত জানতে পারেন, একটি আবাসনে গাড়িটি রাখা রয়েছে। সেই আবাসনের সিকিউরিটিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, পুলিশের লোক গাড়িটি রেখে গিয়েছেন। সোমবারই টোটো চালক এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখেন পুলিশের ওই অস্থায়ী গাড়িচালক টোটোটি নিয়ে যাচ্ছেন।
ওই টোটো চালক বলেন, “রবিবার রাতে বিয়ে বাড়ির ভাড়া ছিল। কাজের ফাঁকে বাড়িতে গিয়েছিলাম। তারপর এসে দেখি টোটো নেই। থানায় যাই, সেখানে বলতেই জানানো হয় টোটো আনা হয়নি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখি পুলিশের লোক গাড়িটি নিয়ে যাচ্ছে। পরে স্থানীয় এক দিদি জানান, গাড়িটি টিউলিপ গার্ডেনে রয়েছে।” আরেক টোটোচালক দেবরাজ চৌধুরী বলেন, “বালির গোডাউনের সিসিটিভ ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাহুল সরকার টোটো নিয়ে যাচ্ছে। সকালে যখন পুলিশকে জানাই তারা বলে কিছু জানে না। পরে এলাকাতেই টোটটি দেখা গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ঘটনার কথা জানালে বলা হয় কোর্ট থেকে টোটো ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে হবে। আমি প্রশ্ন করি কেন, আপনার নিয়ে গিয়েছেন কোর্টে কেন যাব? সেটাই অপরাধ বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে মেরে পা ফাটিয়ে দিয়েছে। চড়, থাপ্পরও মেরেছে।” হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিক বলেন, ” টোটোটি বেআইনি ভাবে রাখা হয়েছিল। তাই সেটিকে তুলে আনা হয়। পুলিশ ওই এলাকায় নেশার ঠেক ভেঙে দিয়েছে। তাই পুলিশের নাম বদনাম করার জন্য এই সব করা হচ্ছে।”
টোটো চালকের দাবি, তাঁকে না জানিয়ে টোটটি নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন যদি বেআইনি পার্কিং করা হয়ে থাকলে মালিককে জানানো হবে না কেন? পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করবে কেন? ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ জন্মছে। সোমবার রাতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।