শীতের চাদরে একটু একটু করে ঢাকছে ভারত। কোথাও কোথাও ইতিমধ্যেই বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। IMD-র পূর্বাভাস, চলতি মরশুমে উত্তর এবং মধ্য ভারতের বেশ কিছু অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ‘পোলার ভর্টেক্স’-এর প্রভাবে হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি এবং গুজরাট-সহ একাধিক অঞ্চলের তাপমাত্রার পারদ বেশ উল্লেখযোগ্য ভাবে নীচে নেমে যাবে। এ ছাড়াও, এই রাজ্যগুলিতে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দিন বা তার বেশি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শীতকালে সাধারণত উত্তর-পশ্চিম ভারতে শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়। কিন্তু এ বার অন্যান্য রাজ্যেও সেই প্রভাব পড়তে পারে।
সাধারণত, যখন কোনও এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে হয় এবং টানা বেশ কয়েক দিন তাপমাত্রার পারদ একই রকম থাকে তখন শৈত্যপ্রবাহ হয়। IMD জানিয়েছে, চলতি মরশুমে মধ্য ভারতের বেশির ভাগ অংশ, দক্ষিণ ভারত এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের তারমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ নীচে নেমে যেতে পারে। তবে কিছু কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা আবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।
পোলার ভর্টেক্স হলো মেরু অঞ্চলের চারদিকে ঘূর্ণায়মান ঠান্ডা বাতাসের একটি বিশাল অংশ, যা এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশে ঠান্ডা বাড়ার পিছনে এরই হাত রয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে, পোলার ভর্টেক্স এবং ‘লা নিনো’-র মিলিত প্রভাবে চলতি মরশুমে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। ‘লা নিনো’ হলো প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখান এবং পূর্ব দিকের সমুদ্র পৃষ্ঠে বয়ে যাওয়া ঠান্ডা হাওয়া। এর প্রভাবেই ভারতে শীতকাল আসে।
চলতি বছর নভেম্বর মাসে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল সবচেয়ে বেশি— ৭৮.১ শতাংশ। অন্যদিকে, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব ভারতে এই সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, লা নিনোর জেরে চলতি বছর জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে দেশে।