মিল্টন সেন, হুগলি: লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ০.০৩ শতাংশ দূরে দাঁড়িয়ে। দলের নির্দেশে হুগলি থেকে মেদিনীপুরে গিয়ে এসআইআর পরিচালনা করে রেকর্ড গড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তাঁর নেতৃত্ত্বে এমুনরেশন ফর্ম বিলি প্রায় একশ শতাংশ ছুঁতে চলেছে। মেদিনীপুর জেলায় মোট ভোটদাতার সংখ্যা ৪২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৪৮ জন। তাঁর মধ্যে ইতিমধ্যেই এমুনরেশান ফর্ম বিলি হয়েছে ৪২ লক্ষ ৮১ হাজার ৯৯৮ টি।
অর্থাৎ, সরকারি হিসেবে অনুযায়ী চলতি সময় ফর্ম বিলি করা হয়েছে ৯৯.৯৭ শতাংশ। যে তথ্য চলতি এসআইআর চলাকালীন বাস্তবেই নজির গড়েছে। একইসঙ্গে তথ্য আপলোড করার দিক থেকেও অনেক এগিয়ে রয়েছে মেদিনীপুর। নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে তথ্য আপলোড করা হয়েছে ৪১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৬৬ জনের। তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই পোর্টালে ভোটদাতাদের তথ্য আপলোড করার কাজ ৯৬.১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের নেতা অভিষেক ব্যানার্জির নিদের্শ পাওয়ার দু'দিন পর ২৬ তারিখ ভোরে মেদিনীপুর রওনা হন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে বিজেপির শক্ত গড়ে মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকেন। এগোতে শুরু করেন দলীয় নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নিদের্শ "এক জনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়" সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। জোর কদমে কাজও শুরু করেন।
জেলা থেকে ব্লক টাউন এবং পঞ্চায়েত স্তরের দলীয় কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু করে দেন। শুরুতেই বিধানসভা, ব্লক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ওয়াররুম গঠন করে ফেলেন। মন্ত্রীর নেতৃত্ত্বে সেখানে কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন নিয়ে কাজে লেগে পড়েন দলের সর্ব স্তরের কর্মীরা। একইসঙ্গে টেলিফোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে থাকেন নিজের বিধানসভা কেন্দ্র সিঙ্গুরের দিকেও। সিঙ্গুরেও দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগোতে থাকে।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সিঙ্গুরে এসএইআরের কাজ ৯৫.৯৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এদিন মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, মেদিনীপুরে পৌঁছে তিনি কোনও বিজেপি কর্মীকে এসআইআরের কাজে মানুষকে সাহায্য করতে দেখেননি। বিজেপির নেতা কর্মী কাউকেই তাঁর নজরে পড়েনি। তবে গুরুত্বসহকারে তিনি দলের নির্দেশ পালন করছেন। উপলব্ধি করেছেন এসএইআর নিয়ে সাধারণ মানুষ রীতিমতো বিভ্রান্ত। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বা সাহায্য করার কেউ নেই।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রত্যেক বিধানসভার প্রতিটি ব্লক টাউন এবং পঞ্চায়েত এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার যাবতীয় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছেন। মানুষের বিভ্রান্তি, হয়রানি দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর নজরদারিতে একজনও বৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেছেন, 'চক্রান্ত করে নির্বাচন কমিশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজ্যের ভোটারের নাম বাদ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন, বাস্তব রূপ পাবে না।' ছবি: আজকাল