• বছর শেষেই বাংলায় আসছেন শাহ, ছাব্বিশের 'শুরু' ডিসেম্বরেই?
    আজ তক | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • বাংলায় ছাব্বিশের ভোটের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নাকি পরিবর্তন, উত্তর মিলে যাবে মে মাসেই। ২০২৬ সাল শুরুর আগেই পশ্চিমবঙ্গে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ডিসেম্বরেই বাংলা সফরে আসছেন শাহ। 

    ছাব্বিশে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ভোট নয়

    সূত্রের খবর, শুধু ডিসেম্বরেই নয়। এবার প্রতিমাসেই হয়তো একাধিক বার বাংলা সফরে আসবেন অমিত শাহ। ২০২১ সালে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে ৭৭টি আসন পেয়ে বিরোধী দল হয়েছে বিজেপি। ২০২৬ সালে ক্ষমতা দখলের টার্গেট গেরুয়া শিবিরের। আর সেই লক্ষ্যেই অমিত শাহের বঙ্গ সফরের সংখ্যা বাড়বে যতই ভোট এগিয়ে আসবে। ২০২১ সালের মতোই। ছাব্বিশে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ভোট নয়। বিধানসভা নির্বাচন হবে অসম, কেরল ও তামিলনাড়ুতে। 

    পশ্চিমবঙ্গ সহ ৪ রাজ্যেই বারবার সফর করবেন

    জানা যাচ্ছে, ডিসেম্বর থেকে যে সফর শুরু করবেন শাহ, তা চলবে একেবারে নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়া পর্যন্ত। অর্থাত্‍ পশ্চিমবঙ্গ সহ ৪ রাজ্যেই বারবার সফর করবেন তিনি। সেই সফরের শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ৪ রাজ্যের ভোটে পশ্চিমবঙ্গকেই যে বিজেপি একেবারে পয়লা নম্বরে রাখছে, তারই প্রমাণ অমিত শাহের ডিসেম্বরের সফর।  

    অমিত শাহের সফরে জোনভিত্তিক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক
     
    দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, অমিত শাহের সফরে জোনভিত্তিক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক হবে, যেখানে বুথস্তর থেকে জেলা স্তরের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবেন তিনি। সংগঠনের কাজ কতটা এগিয়েছে, কোথায় দুর্বলতা আছে, আগামী দিনে কোন কৌশল নেওয়া হবে, এসব বিষয়ই মূল আলোচ্য হবে। পাশাপাশি কয়েকটি জনসভা, দলীয় কর্মসূচি এবং জোটসঙ্গীদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও নির্ধারিত হচ্ছে। বিজেপির লক্ষ্য, নির্বাচন ঘোষণার আগেই সহযোগী দলগুলির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে পরিষ্কার সিদ্ধান্তে পৌঁছনো।

    বিহারে সংগঠনকে মজবুত করার পর এখন বিজেপির বড় নজর পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। অসমে ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকার রয়েছে। ত্রিপুরাতেও বিজেপি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে নেই। দলের মতে, এই রাজ্যগুলিতে ধারাবাহিক রাজনৈতিক উপস্থিতি এবং শক্তিশালী প্রচার চালানো গেলে অনেকটা সুবিধা পাওয়া যাবে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে টানা রাজনৈতিক লড়াই এবং উত্তেজনার পরিবেশে বিজেপি কর্মীদের উৎসাহিত করা এই সফরের প্রধান লক্ষ্য।

     ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কোনও পৃথক নির্বাচন প্রভারী ছিল না

    দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হিসেব অনুযায়ী, অমিত শাহের নিয়মিত সফর মাঠের কর্মীদের মনোবল বাড়াবে এবং তৃণমূল, কংগ্রেস ও বাম জোটের উপর রাজনৈতিক চাপও তৈরি করবে। বুথভিত্তিক সংগঠনকে সক্রিয় করে নির্বাচনী যুদ্ধে প্রস্তুত থাকার বার্তাই দিতে চাইছে বিজেপি।  পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই নির্বাচনের দায়িত্বে ভূপেন্দ্র যাদব ও বিপ্লব দেবকে প্রভারী নিয়োগ করেছে বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের জন্য কোনও পৃথক ‘নির্বাচন প্রভারী’ ছিল না গেরুয়া শিবিরের। ২০০৬ এবং ২০১১ সালে অরুণ জেটলিকে বঙ্গের নির্বাচন প্রভারী করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে সে দায়িত্ব পেয়েছিলেন নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। 
  • Link to this news (আজ তক)