ইডলি, কফি ও উপমা খেয়ে রাজনৈতিক আলোচনা! শিবকুমারের বাসভবনে ব্রেকফাস্ট সিদ্ধারামাইয়ার
বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
বেঙ্গালুরু, ২ ডিসেম্বর: ব্রেকফাস্ট রাজনীতি, ভারতে এক নতুন ধরণের রাজনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সৌজন্যে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। এই দুই কংগ্রেস নেতার ঠাণ্ডা যুদ্ধ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে কর্ণাটক। সিদ্ধারামাইয়াকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে শিবকুমার বসবেন? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ছিল। সুযোগ বুঝে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙানোর রাস্তা তৈরি করতে শুরু করে বিজেপি। যদিও কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের নির্দেশে মতো গত শনিবার নিজের বাড়িতে শিবকুমারকে ব্রেকফাস্টের জন্য আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। সেইমতো ব্রেকফাস্টে হাজির হন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী। ইডলি, উপমা খেয়ে শুরু হয় দুই কংগ্রেস নেতার রাজনৈতিক আলোচনা! তারপরেই সব ঠিক হয়ে যায়। মনোমালিন্য কেটে যায়, ফের একসঙ্গেই কর্ণাটকে সরকার চালানোর কথা বলেন সিদ্ধারামাইয়া ও শিবকুমার।তারপরেই আজ, মঙ্গলবার শিবকুমার, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াকে তাঁর বাসভবনে ব্রেকফাস্টের জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেই মতো এদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শিবকুমারের বাসভবনে পৌঁছে যান বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। ইডলি, ধোসা, উপমা, কফি ও চিকেন খেয়ে ফের একপ্রস্থ রাজনৈতিক আলোচনা হয় সিদ্ধারামাইয়া ও শিবকুমারের মধ্যে। সেই সংক্রান্ত ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। এই ব্রেকফাস্ট বৈঠক প্রসঙ্গে শিবকুমার জানিয়েছেন, ‘কর্ণাটকে ভালো সরকার চালানো ও উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে একদফা আলোচনা হল।’ কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে কোনও বিবাদ নেই।ব্রেকফাস্ট বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও মতপার্থক্য নেই। ডি কে শিবকুমার আর আমি এক। আমরা সরকার চালাচ্ছি, ভবিষ্যতেও এইভাবেই একসঙ্গে সরকার চালাব। শিবকুমার আমাকে আজ ব্রেকফাস্টের জন্য ডেকেছিলেন। ব্রেকফাস্টের পর, আসন্ন বিধানসভার অধিবেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাংসদদের নিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর বৈঠকে বসব আমরা। কৃষকদের সমস্যা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’ এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশও।