‘সঞ্চার সাথী’ অ্যাপ ফোনে রাখা বাধ্যতামূলক নয়, বিরোধিতার মাঝে ঘোষণা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া’র
বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর: ফোনে আড়ি পাতার চেষ্টা! গতকাল, সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের অদ্ভূত এক নির্দেশে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। গতকাল, কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, সব স্মার্টফোনে সরকারি সাইবার নিরাপত্তা অ্যাপ ইনস্টল করতেই হবে। সেই অ্যাপটি হল, ‘সঞ্চার সাথী’! তবে সাধারণ মানুষকে এই নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হতে হবে না বলেই সাফাই দেয় কেন্দ্র। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে ২৮ নভেম্বর এই নির্দেশিকা সরাসরি পাঠানো হয়েছে বড় বড় স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাগুলির কাছে। জানানো হয়েছে, ফোন তৈরির পরেই তাতে ‘ইনস্টল বা লোড’ করে দিতে হবে ‘সঞ্চার সাথী’। ৯০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে করতে হবে এই ব্যবস্থা। ‘প্রি-ইনস্টলড’ ওই অ্যাপ চাইলেও আনইনস্টল করা যাবে না। কেন্দ্রের দাবি, সাইবার জালিয়াতি মোকাবিলাতেই এই পদক্ষেপ।যদিও ‘পেগাসাস’-এর মতো ফোনে আড়ি পাতার এটি নতুন কৌশল বলে দাবি করে বিরোধীরা। দেশজুড়েই ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়। অবশেষে পরিস্থিতির কথা মাথাতে রেখে পিছু হটেছে কেন্দ্র। আজ, মঙ্গলবার সংসদের বাইরে কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘স্মার্টফোনে সঞ্চারসাথী অ্যাপ রাখা বাধ্যতামূলক নয়।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘অপব্যবহার করে অনেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা চলছে। সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। সেই কারণেই সঞ্চার সাথী অ্যাপের নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। এর নেপথ্যে কোনও নজরদারি বা কল মনিটরিং-এর বিষয় নেই। আপনি চাইলে এটি অ্যাক্টিভেট করুন। না চাইলে অ্যাক্টিভেট করবেন না। আপনারা রাখতে চাইলে রাখুন, ডিলিট করতে চাইলে ডিলিট করুন। যদি আপনি সঞ্চার সাথী ব্যবহার না করতে চান, তা হলে ডিলিট বা আনইনস্টল করে দেবেন। এটি অপশনাল। ক্রেতা সুরক্ষার বিষয়। বাধ্যতামূলক কিছু নয়।’ সূত্রের খবর, কেন্দ্র যে নির্দেশিকা জারি করেছিল ‘সঞ্চার সাথী’ অ্যাপের জন্য তার বিরোধিতা করতে চলেছে অ্যাপল।