এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, ২ লক্ষ টাকা সাহায্যের ঘোষণা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠক থেকে আর্থিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআর-এর অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগে আত্মঘাতী বিএলও-দের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিএলওদের পাশাপাশি এসআইআর আতঙ্কে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকেও ২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন তিনি।
রাজ্যজুড়ে এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নিজের বা পরিবারের নাম থাকলে চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে সাফ জানায় কমিশন। তার পরেও সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক গেঁথে বসে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু হয় অনেকের।
Advertisement
নবান্ন থেকে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা সমবেদনা জানাই। আমি যতদূর জানি, এখনও ৩৯ জন মারা গিয়েছেন। ১৩ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ৩ জন আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন, শারীরিক অবস্থা সিরিয়াস। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। অসুস্থরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা। আমাদের সরকার তাঁদের দুর্দিনে পাশে আছে। জানি আমাদের টাকা নেই। তবে মহিলারা সংসারও চালায়, আবার সরকারও যখন চালায় তখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতোই কী ভাবে ম্যানেজ করতে হয়, তা জানে। আমরা করছি।’
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর কাজের চাপে চার জন বিএলও-র মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এঁদের মধ্যে দু’জনের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর বাংলায় চালু হয়েছে এসআইআর। প্রথম দিনেই আত্মঘাতী হন খড়দহের বাসিন্দা প্রদীপ কর। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক আত্মহত্যা করেছেন। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বা ব্রেন স্ট্রোকে।