• পনেরো বছর পর! প্রাক্তনের ফোন পেয়ে কান্না ধরে রাখতে পারলেন না 'বর্তমান'
    ২৪ ঘন্টা | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • বিধান সরকার: বাঁশবেড়িয়া পুরসভার নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নিলেন তাপস মুখার্জি। তাপসবাবু তৃণমূল তৈরির আগে থেকেই বাঁশবেড়িয়ার কাউন্সিলর। বছর পনেরে আগে তার একবার চেয়ারম্যান হওয়ার কথা থাকলে সে সময় বর্ষিয়ান রথীন দাস মোদককে চেয়ারম্যান করেছিল দল। তারপর একাধিক চেয়ারম্যান বদল হয়েছে। কিন্তু তাপস মুখার্জির ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি।

    গত লোকসভা ভোটে হুগলি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এলাকায় প্রায় বারো হাজার ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিলেন। দল সেই কারণ দেখিয়ে চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীকে পদত্যাগ করতে বলে। গত ১১ নভেম্বর আদিত্য নিয়োগী পদত্যাগ করেন। তারপর আজ বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের শপথ নেন তাপস মুখার্জি।

    আর চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম ফোন পান প্রাক্তন চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর। আদিত্য রাজনৈতিক সতীর্থ। তার ফোন পেয়ে বস্তুত কেঁদে ফেললেন তাপস। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

    ভাইস চেয়ার পার্সন শিল্পী চট্টোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, হয়তো আমাদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো না। হয়তো আমাদের অহংকার হয়ে গিয়েছিল। মানুষের দাবি পূরণ হয়নি। তাই সবার কাছে যেতে হবে। পুরসভার কাজ ভালো করে করতে হবে। আমার সময় কম। পুরসভার হাসপাতালটা আরেকটু ভালো করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব। পুর মন্ত্রীর কাছেও যাব। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী কাজ হবে। হাসপাতালে অনেক বয়স্ক মানুষ আসেন তাদের জন্য একটা লিফট করতে হবে।আশাকরি সবার সহযোগিতা পাব। সব দলেই কোন্দল আছে। আমাদের সেসব ওভারকাম করতে হবে।

    সিপিআইএম বাঁশবেড়িয়া এরিয়া কমিটির সদস্য রুদ্র চক্রবর্তী বলেন, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান কে হল তা নিয়ে মানুষের মাথা ব্যাথা নেই।বাঁশবেড়িয়া পুরসভার মানুষ পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। রাস্তা জল নিকাশি স্বাস্থ্য সব কিছু থেকেই। এখানকার সমাজসেবীরা সব ঠিক করে। যে কমিশন বেশি দিতে পারবে সে চেয়ারম্যান হবে। এতে সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হয় না।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)