জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নজরে ছাব্বিশ। বাংলায় গত ১৫ বছরে সরকারের কাজের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'বাংলার মানুষ সরকারকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। ১৪ বছর ৬ মাস ধরে কাজ করেছি। এটা আমাদের দায়িত্ব আমরা কি কাজ করেছি, সেটা মানুষের সামনে তুলে ধরার'।
নাম, 'উন্নয়নের পাঁচালি, বাংলার গৌরবোজ্জ্বল ১৫ বছর'। মুখ্য়মন্ত্রী জানান, 'আমরা ছ'টা ভাষায় এই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করছি। আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে এই রিপোর্ট কার্ডটির উদ্বোধন করলাম। এর জন্যে একটা বিশেষ গান অবধি তৈরি করেছি। আগে মা-বোনেরা পাঁচালি গাইতেন। আগের দিনের গৌরবকে আমরা তুলে এনেছি। বাংলার মনীষীদের ছোঁয়া তাতে থাকছে। ইমন এই গান করেছে'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '২০১১ সালে যখন আমরা এসেছিলাম। তখনের থেকে এখন অর্থনৈতিক সাফল্য ভালো। ২০১১ সাল থেকে ৫.৩১%, সোশ্যাল সেক্টরে ১৪.৪৬% কৃষি ৮ শতাংশের বেশি বরাদ্দ বেড়েছে। ২০১১ সাল থেকে ৫.৩১%, সোশ্যাল সেক্টরে ১৪.৪৬% কৃষি ৯% এর বেশি এক্সপিনডিচার বেড়েছে। এক কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। রাজ্যে ২ কোটির বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। ইকনমিক করিডর থেকে আরও ১ লক্ষ লোক চাকরি পাবে। দেউচাতে এক লক্ষ চাকরি হবে। একসময় বাংলা উৎপাদন শিল্পে শীর্ষ ছিল। আস্তে আস্তে সেই জায়গায় বাংলা পৌঁছে গিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ১ কোটি ৩০ লক্ষ লোক চাকরি করে। এছাড়া দুর্গা পুজো থেকে মেলা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আয় বেড়েছে'।
একশোর দিনে কাজে আদলে কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'একশোর দিনে কাজে আমরা এক নম্বর ছিলাম। বন্ধ করে দিল। সেই কারণে আমরা কর্মশ্রী চালু করি। একশো দিনের চেয়ে বেশি কাজ দিচ্ছি। এবছর পরিবারপিছু ৭৫ দিনের কাজ হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের মারধর, ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছিল। কাউকে কাউকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৩১ লক্ষ ৭৭ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের আমরা মাসিক সাহায্য করি। বিহারে ভোটের আগে ১০ হাজার, ভোট মিটতেই বুলডোজার। দুই কোটি ২১ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পান'।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'স্বাস্থ্য ক্ষেত্র বাজেট ছয় গুণ বেড়েছে। ২ কোটি ৪৫ লক্ষ পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথী দেওয়া হয়। বিনামূল্যে সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১১০ মেডিক্যাল ভ্যান দিয়েছি। আরও ১০০ ভ্যান দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ২১১ ভ্যান প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছে'। তাঁর নির্দেশ,'উন্নয়নের পাঁচালি যেন সব ঘরে ঘরে যায়। ইলেকশনের কাজ যেমন করছেন করুন। মানুষের কাছে আমাদের কমিটমেন্ট আছে। যে যত কাজ দ্রুত করবে তাদের পুরষ্কার দেওয়া হবে। মন্ত্রীরাও নজর রাখুন। সিএস মনিটরিং টিম করে দেখুক। এছাড়া জেলায় জেলায় ১০ জন অবজারভার যাবে। বিভাগীয় সচিবরাও দেখুন'।