সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরকে অশান্ত করতে ফের সক্রিয় পাক জঙ্গিরা! ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণ রেখার ৬৯টি লঞ্চপ্যাডে ঘাঁটি গেড়েছে অন্তত ১২০ জন জঙ্গি। সুযোগ খুঁজছে অনুপ্রবেশের। সোমবার এমনই আশঙ্কার কথা জানালেন কাশ্মীর সীমান্তে বিএসএফের আইজি অশোক যাদব। ওই সন্ত্রাসীদের উপর কড়া নজর রাখার পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, পাকিস্তান যদি ফের অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করে তবে অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিএসএফের আইজি বলেন, “আমাদের জি ইউনিট এলওসি বরাবর ৬৯টি জঙ্গি ঘাঁটির উপর কড়া নজর রেখেছে। ওই অঞ্চলে ১২০ জন জঙ্গি ওঁত পেতে রয়েছে অনুপ্রবেশের জন্য। এছাড়া নিকটবর্তী জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিও আমাদের নজরে আছে।” পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, পাকিস্তান যদি কোনওরকম বাড়াবাড়ি করে তবে কড়া জবাব দিতে দ্বিতীয়বার ভাববে না ভারত। অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, অনুপ্রবেশ রুখতে বিএসএফের সাফল্যে কথা তুলে ধরে বলেন, চলতি বছর বিএসএফ ও সেনার যৌথভাবে চারবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে। এই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ৮ জঙ্গির। এটি ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অংশ, যা চলতি বছরে বিএসএফ-এর বড় সাফল্য।
এর পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য তুলে ধরে বিএসএফ কর্তা বলেন, পহেলগাঁও হামলার জবাবে ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিএসএফ পরিচালিত অপারেশন সিন্দুর পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। শুধু তাই নয়, ভারতের ফায়ারিং রেঞ্জকে নজরে রেখে পাকিস্তান তাদের বেশ কয়েকটি লঞ্চ প্যাড পিছিয়ে নিয়েছে। তারপরও আমাদের নজরদারিতে কোনও খামতি নেই। প্রযুক্তি, ড্রোন নজরদারি, সেন্সর এবং নাইট-ভিশন মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে নজরদারি।
উল্লেখ্য, মে মাসে হামলার সময় বিএসএফ এবং সেনাবাহিনী পাকিস্তানি সেনাঘাঁটি এবং জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাডগুলিতে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। আধিকারিকদের মতে, “আমাদের আর্টিলারি রেজিমেন্ট এবং বিএসএফ ইউনিটগুলি পাকিস্তানি সেনাদের উপর জরাল আঘাত হানে, বেশ কয়েকটি সেনাঘাঁটি ও জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাড ধ্বংস করা হয়।” সেই সময় ৬৯টি লঞ্চ প্যাড কেন ধ্বংস করা হয়নি? জানতে চাওয়া হলে বিএসএফ কর্তা বলেন, “ভৌগলিক অবস্থান এবং দূরত্বের কারণে একইসঙ্গে সমস্ত লঞ্চ প্যাডে নির্ভুলভাবে গুলি চালানো অসম্ভব ছিল। বহু জায়গায়, ফায়ারিং অ্যাঙ্গেলও ছিল না।”