সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবতীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক করেছিল পরিবার। বিয়ে রুখতে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে ঠাকুমাকে খুন! আশা ছিল ঠাকুমার মৃত্যু হলে পিছিয়ে যাবে বিয়ে। পালিয়ে যাবেন প্রেমিকের সঙ্গে। এতকিছুর পর তাঁর বিয়ে আটকায়নি। ঘটনার প্রায় ২০ দিন পরে ঠাকুমাকে খুনের অভিযোগে যুগলকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। অভিযুক্ত যুবতীর নাম রুবি। বয়স ২৩ বছর। স্থানীয় এক যুবক রবিশংকরের সঙ্গে প্রেম ছিল তাঁর। মোটরসাইকেলে গ্যারজ চালানো যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নেয়নি রুবির পরিবার। অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয় তাঁর। ১৮ নভেম্বর বিয়ের দিন ছিল। কিন্তু তা মানতে পারেননি যুবতী। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে ঠিক করেন ঠাকুমাকে খুন করবেন।
পরিকল্পনা মাফিক ১১ নভেম্বর ছাগল চরানোর, নাম করে ঠাকুমাকে গুলি করে খুন করেন রুবি ও রবিশংকর। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা। ফিরে যান যে যাঁর বাড়ি। তারপর বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয় বৃদ্ধা চন্দ্রাবতীর(৬২)। যুগল ভেবেছিলেন এবার বিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। নির্ধারিত দিনেই বিয়ে হয়ে যায় রুবির।
এদিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় খুনে ব্যবহৃত বন্দুকটি। বিভিন্ন সূত্র ধরে রুবি ও রবিশংকেরর কাছে পৌঁছন তদন্তকারীরা। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর আসল বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশের দাবি, দু’জনে ঠাকুমাকে খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আলিগড়ের সার্কেল অফিসার শিবম সিং বলেন, “রুবি ও রবিশংকরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা অপরাধ স্বীকার করেছে।”