তার কেনার টাকা নেই! ১২ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন সরকারি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, চরম ভোগান্তিতে রোগীরা
প্রতিদিন | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: প্রয়োজন মাত্র ৮/১০ মিটার তারের! তা কিনে দেওয়ার নাকি লোক নেই। নেই ফান্ডও। আর সেই কারণে প্রায় ১২ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন খোদ সরকারি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের বাকলা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এর ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে সাধারণ মানুষ। অনেকেই চিকিৎসা করাতে এসে পরিষেবা না পেয়েই ফিরে যাচ্ছেন। যা নিয়ে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ। শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন ফ্রিজ বন্ধ থাকায় নষ্ট হওয়ার জোগাড় ওষুধ, ভ্যাকসিন।
তবে এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানিয়েও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি বলেই দাবি কমিউনিটি হেলথ অফিসার অনিন্দিতা দাসের। তিনি বলেন, ”সমস্ত দপ্তরকেই এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানকেও জানিয়েছি। এমনকী বিদ্যুৎ বিভাগেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।” কিন্তু সবাই দেখছেন বলেই কার্যত এড়িয়ে যাচ্ছেন বলেই আক্ষেপ অনিন্দিতা দাসের।
তিনি বলেন, ”বিদ্যুৎ দপ্তর জানিয়েছে তার-সহ বেশকিছু ইলেকট্রিক সরঞ্জাম কিনতে হবে। সেই টাকাও দিতে হবে আমাদের। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনও ফান্ড নেই।” এই অবস্থায় কবে আলো জ্বলবে তা নিয়ে চিন্তায় খোদ স্বাস্থ্যকর্তা। যদিও এর মধ্যেই অর্থাৎ অন্ধকারেও যতটা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব সবটাই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিউনিটি হেলথ অফিসারের।
আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের বাকলা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল আলিপুরদুয়ার ২ ব্লক ও সংলগ্ন ১ ব্লকের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। প্রত্যেকদিনই বহু মানুষ সেখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু ১২ দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডিজিটাল কাজ সব বন্ধ। বন্ধ জেরক্স মেশিন, কম্পিউটার, ওয়াই-ফাই। কোনও তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে আপলোড করা সম্ভব হচ্ছে না। সবথেকে সমস্যায় পড়েছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। বিশেষ করে মহিলারা। বিদ্যুৎ না থাকায় জল নেই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাথরুমে। ফলে কেউ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এই অবস্থায় আশেপাশের বাড়ির বাথরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মহিলা কর্মীদের।
এই অবস্থায় দ্রুত পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক করা হয়, সেই দাবিই জানাচ্ছেন রোগী থেকে স্থানীয় মানুষজন।