‘ভোটের আগে ১০ হাজার, পরে বুলডোজার’, পরিযায়ী প্রশ্নে ফের কেন্দ্রকে বিঁধলেন মমতা
প্রতিদিন | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মহিলাদের ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা নীতিশ কুমারের জয়ের পিছনে বড় কারণ! এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু ভোট মিটতেই সেখানে বুলডোজার চালানো হচ্ছে বলে মত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। এককালীন নয়, তাঁর সরকার বছরভর মহিলাদের সাহায্য করে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মহিলাদের বছরে ১২ হাজারের বেশি টাকা সাহায্য করা হয়। তবে শুধু মহিলাদের নয়, লিঙ্গভেদাভেদ না করে ঘরে ফিরে আসা ৩১ লক্ষ ৭২ হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার নবান্নের সভাঘরে সরকারের উন্নয়নের রিপোর্ট প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই ভোটের আগে বিজেপি ও তার শরীক দলগুলির অর্থসাহায্য দেওয়া নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছেন মমতা। বিহারে ভোটের আগে টাকা দেওয়া নিয়ে বলেন, “বিজেপি যেটা দেখানোর জন্য করেছে বিহারে ভোটের আগে ১০ হাজার, পরে বুলডোজার। আমরা বছরে ১২ হাজার টাকা দিই। ৫ বছরে ৬০ হাজার টাকা (শুধু মাত্র জেনারেল কাস্টের জন্য)।”
বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা নিয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, ঘরে ফিরে আসা শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি তাঁদের কর্মশ্রী প্রকল্পের অধীনে কাজ দেওয়া হয়েছে। জুড়ে দেওয়া হয়েছে শ্রমশ্রী ও কর্মশ্রী প্রকল্প। তিনি বলেন, “যাঁদের মারধর, অত্যাচার থেকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অনেককে আবার বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরে ফিরে আসা সেই ৩১ লক্ষ ৭২ হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। তাঁদের কাজও দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে হেনস্তা, মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় তাঁদের বাড়িতে ফিরে আসার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চালু করেছিলেন শ্রমশ্রী প্রকল্প। কাজ না পাওয়া পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। আজ, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন তিনি। এছাড়াও ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁর সরকার কী কী করেছে, সেই তথ্য তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।