• হিমঘরে আলু রাখার সময় বেড়েছে, ‘কিন্তু ভাড়াও তো বেড়েছে’, উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা
    এই সময় | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • হিমঘরে আলু সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়িয়েছে রাজ্য। এই সিদ্ধান্তে খুশি কৃষক থেকে আলু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়লেও একই সঙ্গে হিমঘরের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বাঁকুড়ার আলু ব্যবসায়ীদের একাংশের। তাতেই বাড়ছে চিন্তা। সূত্রের খবর, বর্ধিত সময়ে হিমঘরে আলু রাখতে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়ে সরকারকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।

    আলু সংরক্ষণের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে কৃষি বিপণন দপ্তর। সম্প্রতি জানিয়েছে, ৩০ নভেম্বরের বদলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখা যাবে। আলু চাষিদের একাংশের অভিযোগ, তবে এর জন্য বস্তা পিছু বাড়তি ১০ টাকা ১১ পয়সা ভাড়া দিতে হবে সংরক্ষণকারীদের। ফলে লোকসান আরও বাড়ার আশঙ্কায় আলু চাষি ও হিমঘরে আলু সংরক্ষণকারীরা।

    চলতি বছর অতিরিক্ত উৎপাদন-সহ নানা কারণে আলুর দাম তেমন বাড়েনি। খোলা বাজারে জ্যোতি আলু ১৭ টাকা হলেও হিমঘরে পাইকারি দাম ১০ টাকার মধ্যেই আটকে ছিল। ফলে ৯৭ টাকা হিমঘর ভাড়া দিয়ে আলু সংরক্ষণ করেও লাভ হয়নি অনেক চাষির। বেশি দামের আশায় এখনও ১৩–১৪ শতাংশ আলু হিমঘরে মজুত রয়েছে।

    ৩০ নভেম্বরের মধ্যে হিমঘর খালি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন হিমঘরে যাঁরা আলু রাখেন, তাঁরা। যদিও সম্প্রতি সেই সময়সীমা বাড়ানো হয় এক মাস। তবে বাঁকুড়ার আলু ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ মণ্ডল, দীনবন্ধু বাগরা জানান, সরকার সময়সীমা বাড়ানোয় খুবই ভালো হয়েছে। তবে ভাড়া না বাড়ালেই ভালো হতো। কারণ, এ বার প্রান্তিক চাষিরা খুবই ক্ষতির মুখে পড়েছে।

    হিমঘর মালিক তুষারকান্তি মুখোপাধ্যায়েরও বক্তব্য, ‘আমরা ভাড়া বৃদ্ধির নোটিস পেয়েছি। এটা তো ঠিক, সংরক্ষণের সময়সীমা বৃদ্ধিতে, আমাদের মেনটেনেন্সের খরচও তো বাড়বে। ভাড়া বাড়লে আমাদের কিছুটা সুরাহা হবে। না হলে তো খুবই চাপ। বিদ্যুতের বিলে বিপুল খরচ।’ তবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি সঙ্গত, তা-ও মানছেন তিনি। চাষিদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা যে দামে আলু কিনছেন, মার্কেটে সে ভাবে দাম পাচ্ছেন না। মার্কেট আপডাউন করছে বলে এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

    পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বিভাস দে বলেন, ‘আমরা নভেম্বরে আবেদন জানিয়েছিলাম, মেয়াদ বাড়িয়ে ডিসেম্বর করতে। তারা আবেদনে সাড়া দিয়েছে। আমরা খুশি। তবে মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে যে ভাড়া বেড়েছে, তাতে আমরা হতাশ। ভাড়ার বিষয়টি একবার ভেবে দেখুক সরকার, এটাই আবেদন। আমরা চাই, কিছু ভর্তুকির ব্যবস্থা হোক। ৯০-৯৫ হাজার টাকার আলু ৬০ হাজার টাকায় নেওয়ার লোকও নেই।’

  • Link to this news (এই সময়)