• যাবজ্জীবন কারাদণ্ড যুগলের, কিন্তু কেন?‌
    আজকাল | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ সামান্য টাকার জন্য ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল যুগলের। ঘটনাটি সাড়ে ছয় বছর আগের। ২০১৯ সালের ৭ জুন রাত তিনটে নাগাদ মগড়া কাঁটাপুকুর এলাকায় একটি দোকানের সামনে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পরে থাকতে দেখা গিয়েছিল মহম্মদ আনোয়ারকে (২৩)। বাড়ি মগড়াগঞ্জ নতুন গ্রাম এলাকায়। ঘটনার দিন সন্ধে থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। গভীর রাতে টহলদারি পুলিশ ওই যুবককে পরে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। মৃত যুবককে উদ্ধার করে মগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। মৃত আনোয়ারের মামা রঞ্জিত সাউ ঠিক পরেরদিন থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ জানান কৃষ্ণা বাউল দাস ও লক্ষ্মী রায়ের বিরুদ্ধে। 

    তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন এক নিরাপত্তারক্ষী অভিযুক্ত যুগলকে আনোয়ারের সঙ্গে বচসা করতে দেখা গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরে পুলিশ দু’‌জনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন গৌতম মণ্ডল। অভিযোগকারীর পক্ষের সরকারি আইনজীবী ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। মোট ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, লক্ষ্মী ১০০ টাকা পেতেন আনোয়ারের কাছে। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে বচসা চলার সময় লক্ষ্মীর সঙ্গী কৃষ্ণা মাথায় আধলা ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করে আনোয়ারকে। তারপর দু’‌জনে পালিয়ে যায়। দু’‌জনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা  অভিযুক্ত দু’‌জনের সাজা ঘোষণা করেন। দু’‌জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। মৃত যুবকের মাকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হুগলি জেলার সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলি বলেন, তদন্তকারী অফিসার খুব ভাল কাজ করেছেন। সাক্ষপ্রমাণ দাখিল করেছেন। আদালতের সরকারি আইনজীবীরা খুব ভাল সওয়াল জবাব করেছেন। তাই একের পর এক মামলায় ভাল রায় হচ্ছে জেলা আদালতে। এই রায়ে খুশি যুবকের মা ও পরিবারের বাকি সদস্যরা। 

     
  • Link to this news (আজকাল)