• ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পরিবারের জন্য বিশেষ ঘোষণা
    বর্তমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ৩৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই রাজ্যে একাধিক মানবিক ও জনদরদী প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির। রাজ্যে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। বছর ঘুরলেই বেজে যাবে বিধানসভার নির্বাচনের দামামা। তার আগে বিগত ১৪ বছরে রাজ্যে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তার একটি পরিসংখ্যান আজ, মঙ্গলবার প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন সভাঘরে এই পরিসংখ্যান পেশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের পাঁচালি।’ তৃণমূল সরকারের আমলে যা যা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তার তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্যসাথী থেকে ঐক্যশ্রী, শিশুসাথী থেকে কর্মশ্রী, সবকিছুরই পরিসংখ্যান রয়েছে এই ‘উন্নয়নের পাঁচালিতে।’ এদিন পরিসংখ্যান পেশের সময়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও একবার সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কেন্দ্রের কাছে আমাদের বকেয়া ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা। কবে ছাড়বেন? নির্বাচনের আগে? তারপর মার্চে ছেড়ে বলবেন খরচ করতে পারল না। আর বলবেন ফিরিয়ে নিয়ে চলে গেলাম? মনে রাখবেন কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলায় উন্নয়নের কাজ কিন্তু থমকে নেই। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র সীমার উপরে নিয়ে এসেছি। ১৪ বছরে ২ কোটির বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র শিল্পে ১ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ কাজ করেন।’ রাজ্যে ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়েও বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘কেন্দ্র হাঁস-মুরগির খাবারের দাম বাড়ানোর জন্যই ডিমের দাম বাড়ছে। ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রই খাবারের দাম বাড়াচ্ছে। বাংলা দেশের মধ্যে ৮টি রাজ্যে ডিম রপ্তানি করে।’ এসআইআর নিয়ে রাজ্যে বহু মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আত্মহত্যাও করেছেন বেশ কয়েকজন। এমনকী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন রাজ্যবাসী। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসআইআর আতঙ্কে’রাজ্যে ৩৯ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের প্রত্যেকের পরিবার ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবে। বর্তমানে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩ জন। এই ১৩ জন ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন।’ এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী এদিন দুটি বিশেষ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প নিয়ে আসছি।’ রাজ্যের একাধিক এলাকায় চালু হবে ‘মে আই হেল্প ইউ বুথ’, এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 
  • Link to this news (বর্তমান)