অনুপ কুমার দাস: সবাই দেখেছে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছে অর্পিতা। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হইচই। ঘর থেরে বের করা হল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অর্পিতা বিশ্বাসের নিথর দেহ। মঙ্গলবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার বোথুয়াডহরি কাঁঠাল বেড়িয়ার দক্ষিণপাড়ায়।
বাবা কাঠের ব্যবসা করেন। পাঁচ বোনের মধ্যে দুই নম্বর অর্পিতা। পড়াশোনায় খারাপ নয়। করোনার সময় তৃতীয় বোনের মৃত্যু হয়। সেই আঘাত কোনওরকমে কাটিয়ে উঠছিল পরিবার। তার মধ্যেই এই ঘটনা।
কাঁঠালবেড়িয় স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল অর্পিতা। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। মঙ্গলবার সকালে এমন মার্মান্তিক ঘটনা ঘটার আগেও কিছু বোঝা যায়নি। কিংবা অর্পিতার ব্যবহারে কোনও অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু চোখে পড়ার মতো বিষয় হল দুর্ঘটনা ঘটার আগে অর্পিতার মোবাইলে একটা ফোন এসেছিল। ফোনের অপর প্রান্ত থাকা ব্যাক্তির সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা বলেছিল সে। এরপরই বাড়ির লোকজন লক্ষ্য করেন, নিজের ঘরে গালায় ওড়ান ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে অর্পিতা। তড়িঘড়ি তাকে নামানো হয়। ততক্ষণে সব শেষ।
মৃত তরুণীর দিদি বলেন, বোন সকালে উঠল। ঘরের সব কাজ করল। সবার সঙ্গে কথা বলল, খুব হাসিখুশিই ছিল। কিন্তু ঘটনা ঘটার এক ঘণ্টা আগে ওর ফোনে একটা ফোন এসেছিল। প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলার পর ওই ঘটনা ঘটে গেল। যার সঙ্গে কথা হচ্ছিল তার নাম অলোক মণ্ডল। প্রতিবেশীরা দেখেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলেছে বোন। তার পরেই ও আত্মঘাতী হয়। ঘটনার পরই পুলিসকে ফোন করা হয়। তারা এসে দেহ নিয়ে যায়।