বিধান সরকার: ভোট বড় বালাই? পঞ্চায়েত জানিয়ে দিয়েছিল টাকা নেই। এমনকী, বিধায়কও বলেছিলেন, একশো দিনের কাজ বন্ধ তাই কোন কাজ করা যাচ্ছে না। এখন তিনিউ আবার নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে নিকাশি সংস্কার করাচ্ছেন! হুগলির চুঁচুড়ার ঘটনা।
নর্দমার জল চলে আসে বাড়িতে। দু্র্গন্ধে টেকা যায় না! বছরভর দুর্বিসহ পরিস্থিতির মধ্যেই থাকতে হয় হুগলির কোদালিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকান্ত নগর এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিধায়ককে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে ধৈয্যের বাঁধ ভাঙে গতকাল, সোমবার। সুকান্ত নগরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়চড়ে বসে প্রশাসন।
বিধায়ক অসিত মজুমদার নিজে এলাকায় যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের তিনি জানান, পঞ্চায়েতে হাত টাকা নেই। চার বছর ধরে একশোর দিনের প্রকল্পের টাকাও আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ফলে নিকাশী সংস্কারের কাজ করা যাচ্ছে না। নিকাশী সংস্থারের দাবিতে পালটা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন সুকান্তনগরের বাসিন্দারা। সাফ জানিয়ে দেন, 'ভোট দেবেন না'। এরপর আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে রীতিমতো যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু গেল নিকাশী সংস্থারের কাজ।
এতদিন হয়নি এখন কি করে হল? বিধায়ক বলেন, 'আমরা ব্যক্তিগতভাবে টাকা দিচ্ছি। প্রধান উপপ্রধানরা দিচ্ছে, আমি দিচ্ছি। এই কাজ যদি দীর্ঘদিন চলে তাহলে পঞ্চায়েতের অন্য কাজ বন্ধ করে সেই টাকায় কাজ চলবে'। তাঁর দাবি, 'চার বছর ধরে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ।তাই অনেক কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে'। বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউের কটাক্ষ, বিধায়ক ওই এলাকায় হেরেছেন। ঘোষণা করেছিলেন, এলাকার উন্নয়নের কোনওকাজ করবেন না। এখন বলছেন, একশো দিনের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। একশোর দিনের টাকা যে চুরি হয়েছে তার হিসাব দেননি তো আপনারা'।