কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ, সৎ বাবাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড বালুরঘাট আদালতের
প্রতিদিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
রাজা দাস, বালুরঘাট: কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সৎ বাবা। ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সাজা শোনাল আদালত। আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট জেলা আদালতে এই সাজা ঘোষণা হয়। পকসো ধারায় এই মামলা চলেছিল বলে খবর।
আদালত সূত্রে খবর, বালুরঘাট শহরের বাসিন্দা পেশায় পরিচারিকা এক মহিলা স্বামী মারা যাওয়ার পরে কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিবাহ করেছিলেন। ওই মহিলার প্রথমপক্ষের একটি বছর ১৪ নাবালিকা মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর একই ভাড়াবাড়িতে তারা তিনজন থাকতে শুরু করেছিলেন। গত বছর ১৭ জুন ওই মহিলা কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেছিলেন মেয়ে অসহ্য পেট ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। তিনি দ্রুত মেয়েকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক পরীক্ষার পর ডাক্তাররা জানান, ওই নাবালিকা ৪ মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা।
মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ে ওই মহিলার। এরপরেই ওই মহিলা জানতে পারেন, সৎ বাবার লালসার শিকার মেয়ে! ওই মহিলা যখন কাজে যেতেন, তখনই ওই কিশোরী অত্যাচারের শিকার হত বলে অভিযোগ! নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে! কাউকে কিছু বললে ফল ভালো হবে না বলেও ভয় দেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ভয়ে মুখবন্ধ রেখেছিল মেয়ে।
সব কিছু জানার পর গত বছরের ১৮ জুন বালুরঘাট থানায় নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। দ্রুত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পকসো ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। বালুরঘাট জেলা আদালতে শুরু হয় মামলা। ওই নাবালিকা ও অভিযুক্ত সৎ বাবার শরীরের ডিএনএ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। দুই ক্ষেত্রেই ডিএনএ মিলে যায়। শনিবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। এদিন দোষীকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, স্পেশাল কোর্ট পকসোর বিচারক শরন্না সেন প্রসাদ এই রায় ঘোষণা করেছেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডর নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ওই কিশোরীর পড়াশোনা এবং সুরক্ষায় ডিএলএসকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ফান্ড থেকে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।