• ২৪ ঘন্টায় ভোলবদল, ‘আনকালেক্টেবল ফর্ম’ সংক্রান্ত বুথ সংখ্যা ২২০৮ থেকে কমে ৪৮০!
    প্রতিদিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: চলতি এসআইআর পর্বে রাজ্যে ‘আনকালেক্টেবল ফর্ম’ সংক্রান্ত বুথের সংখ‌্যা মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কী করে ২২০৮ থেকে কমে মাত্র ৪৮০ তে গিয়ে ঠেকল, তার কোনও গ্রহণযোগ‌্য ব‌্যাখ‌্যা দিতে পারলেন নির্বাচন কমিশনের ছোট-বড় কোনও কর্তাই। স্বাভাবিকভাবেই কমিশনের এহেন ‘বালখিল‌্যপনা’য় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এপ্রসঙ্গে কমিশনকে উদ্দেশ‌্য করে তাঁর তোপ, ‘‘ইয়ার্কি মারছেন? বিজেপির হাতে তামাক খেতে গিয়ে একবার এক কথা বলছেন, আরেকবার অন‌্য কথা! তার থেকে বরং নিজেদের নামের তলায় আকেরটি ফলক জুড়ে তাতে লিখে দিন যে এটি ভারতীয় জনতার পার্টির শাখা সংগঠন!’’

    সোমবার রাজ্যের এনুমারেশন ফর্ম সংক্রান্ত পরিসংখ‌্যান দিতে গিয়ে রাজ্যের মুখ‌্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল যে রাজ্যের ২২০৮টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটার মারা যাননি বা নিখোঁজ হননি বা বাইরে চলে যাননি। পাশাপাশি আরও ৫,৮০০-র কাছাকাছি বুথে এক থেকে ১০টি ‘আনকালেক্টেবল’ ফর্ম রয়েছে বলেও জানানো হয়েছিল। বিষয়টি যে ‘সন্দেহজনক’, তা তখনই জানিয়েছিলেন কমিশনের আধিকারিকরাই।

    কিন্তু মঙ্গলবার পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে কমিশন জানাচ্ছে, রাজ্যে একটিও ‘আনকালেক্টেবল’ বা অসংগৃহীত ফর্ম নেই, এমন বুথের সংখ‌্যা মাত্র ৪৮০টি। অর্থাৎ রাত পোহানোর সঙ্গে সঙ্গে স্পর্শকাতর এই বিষয়ে সংখ‌্যা কমে গেল ১৭২৮। এপ্রসঙ্গে কমিশনের যুক্তি, ডিইও-দের কাছ থেকে জানা গিয়েছিল, ২২০৮টি বুথে কোনও মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটার নেই। ওইসব বুথে যত এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়েছিল, সবই পূরণ করে জমা দেওয়া হয়েছে। একথা জানার পর সোমবারই ওইসব জেলা থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। কমিশন সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে সংখ্যাটা ২২০৮ থেকে কমে ৪৮০ হয়েছে! সবচেয়ে বেশি কমেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এখানে রায়দিঘিতে ৬৬, কুলপিতে ৫৮, মগরাহাটে ১৫, পাথরপ্রতিমায় ২০ বুথ ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।

    এসআইআরের মতো প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশনের এহেন ‘তুঘলকি’ কাণ্ডকারখানার সমালোচনা করে কুণাল বলেন, ‘‘জাতীয় নির্বাচন কমিশন ছেলেখেলা করছে নাকি? একবার বলছে দু’হাজার, একবার বলছে চারশো! এসআইআর প্রক্রিয়ার শুরু থেকে আপনারা একের পর এক অদূরদর্শী, অপরিকল্পিত, হঠকারী কাজকর্ম করে যাচ্ছেন।’’ তাঁর কথায়, তৃণমূল কংগ্রেসের স্ট‌্যান্ড পরিষ্কার। আমরা একটাও ভুয়ো ভোটার অ‌্যালাও করছি না। একটা বৈধ ভোটারকে বাদ দেওয়ার কনস্পিরেসিটাকেও অ‌্যালাও করছি না। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন ভুলভাল করে যাচ্ছে। ভুলভাল সংখ‌্যা দিচ্ছে। ভুলভাল পরিকল্পনা চাপিয়ে দিচ্ছে। আর সেগুলো নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)