• ১১ বছরে ইডির ৬,৩১২ মামলায় দোষী মাত্র ১২০
    বর্তমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: বিরোধী শাসিত কোনও রাজ্যে ভোট এলেই তুঙ্গে ওঠে  ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তৎপরতা। বিরোধীদের দাবি, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। এজন্য ইডি-সিবিআই-আয়কর বিভাগকে দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। তাদের আরও দাবি, অপরাধ নয়, বিরোধীদের দমনেই কাজে লাগানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে।  এরইমধ্যে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৩১২টি মামলা রুজু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ১২০ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ণ সিনহার প্রশ্নের উত্তরে সোমবার সংসদে এই তথ্য জানিয়েছেন মোদি সরকারের মন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। তাহলে বাকি মামলাগুলির কী হল? সেগুলি কি শুধুই বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে চুপ করানোর ষড়যন্ত্র? সরকারি ওই তথ্য বিরোধীদের অভিযোগকে আরও মজবুত করল বলে মনে করা হচ্ছে। এব্যাপারে কংগ্রেস বলেছে, নরেন্দ্র মোদি ইডিকে নিজের রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছেন। এটি সরাসরি গণতন্ত্রের উপর হামলা। শত্রুঘ্নর প্রশ্ন ছিল,  জুন ২০১৪ থেকে ১ নভেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে কতগুলি মামলা করেছে ইডি? কতজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তরেই অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী এই তথ্য পেশ করেছেন।তথ্য বলছে, বিগত কয়েক বছরে বিশেষ করে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে  লাফিয়ে বেড়েছে আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) মামলার সংখ্যা। এর আগে পর্যন্ত ইডির মামলায় সংখ্যা ২০০ তেও পৌঁছয়নি।  ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তা তা বেড়ে হয় ৫৫৭। পরের অর্থবর্ষে ওই সংখ্যা ছিল ৯৯৬। ২০২১-২২ সালে তা বেড়ে হয় ১ হাজার ১১৬। এক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট থেকে ৯৩টি মামলায় ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছে ইডি। কারণ আর্থিক প্রতারণার কোনও প্রমাণ মেলেনি। আর দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মাত্র ১২০ জন। হাত শিবিরের বক্তব্য, বিগত ১০ বছরে ১৯৩ জন বিরোধী সাংসদ, বিধায়ক, নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২ জনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট, রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতে ইডিকে হাতিয়ার করেছেন মোদি। 
  • Link to this news (বর্তমান)