নয়াদিল্লি: অধিবেশনের প্রথমদিন কুকুর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সংসদে। আর তা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কেও জড়ান কংগ্রেস সাংসদ রেণুকা চৌধুরী। তবে এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বরং বিষয়টি নিয়ে কেন এত বিতর্ক, তা জানতে তিনি আগ্রহী। যাবতীয় বিতর্কের প্রসঙ্গে তাঁর পালটা প্রশ্ন, ‘এটাই কি এখন সংসদের প্রধান আলোচ্য বিষয়?’ সঙ্গে কটাক্ষ, ‘মনে হচ্ছে গোটা দেশ এখন এইসব আলোচনাতেই ব্যস্ত।’ সংসদে কুকুর কেন আনা যাবে না? এই প্রশ্নও তুলে তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ ভবনের বাইরে পোষ্য আনা নিষিদ্ধ, অথচ ভিতরে পোষ্যর অনুমতি রয়েছে!’ কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্যে জবাব দিয়েছে বিজেপি। দলীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারী ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘এই ধরনের মন্তব্য করে নিজের দলের নেতাদেরই অপমান করেছেন রাহুল।’
যদিও ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বিতর্কে নাম জড়িয়েছে রেণুকা চৌধুরীর। সংসদে কুকুর আনার প্রসঙ্গে রেণুকা বলেছিলেন, ‘যারা কামড়ায় তারা ভিতরে’। এবার তাঁর দাবি, দেশের সেনাকে চাপে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেণুকা বলেন, ‘সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হল, এই প্রথমবার, দেশের সেনা কর্তারা বলছেন, সরকারের সমর্থনে কথা বলার জন্য তাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।’ রেণুকার এই মন্তব্য সেনার অপমান বলেই মনে করেছে বিজেপি। দলীয় মুখপাত্র সিআর কেশবনের অভিযোগ, এইধরনের মন্তব্য বিভেদ সৃষ্টিকারী এবং বিদ্বেষপূর্ণ। এপ্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও একহাত নিয়েছেন কেশবন। তাঁর দাবি, আগেও সেনার অপমান হয় এমন মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী। এর জন্য আদালতেও ভৎসর্নার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আসলে কংগ্রেস সদস্যদের মানসিকতাই এমন ‘সেনাবিরোধী’।