মমতা ও অভিষেককে ধন্যবাদ, সন্তান যেন ভারতেই জন্মায়, আর্জি সোনালির
প্রতিদিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিম কোর্ট দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে। বাংলাদেশের আদালত জামিন দিয়েছে। এরপরেও ভারত সরকারের তরফে তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সোনালি বিবির কাতর আবেদন, “যত দ্রুত সম্ভব ভারতে ফেরানো হোক। আমার সন্তান যেন ভারতেই জন্মগ্রহণ করে।” একই সঙ্গে এদিনই প্রতি মুহূর্তে তাঁর পাশে থাকার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান তিনি। সোনালি খাতুন ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা পরিযায়ী শ্রমিকদের উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলামকেও।
বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জে সোনালি বিবিদের সঙ্গে রয়েছেন বীরভূমের যুবক মফিজুল শেখ। মঙ্গলবার বিকেলে মফিজুল টেলিফোনে জানান, ভালো আছেন সোনালি বিবি।
বুধবার চিকিৎসার সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। আপাতত, নবাবগঞ্জের ফারুক আলির বাড়িতে ওনারা আছেন। ওঁর দায়িত্বে, হেফাজতে। পুরো বিষয়টি পর্যবক্ষণ করছেন জুডিশিয়াল কোর্টের অ্যাডভোকেট শরিফ এনায়েতুল্লাহ এবং স্থানীয় ব্যক্তি মিনাজ ইসলাম। সোনালি খাতুনের আর্জি, “আমি গর্ভবতী। আমাদের তাড়াতাড়ি দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন। আমরা কী অপরাধ করেছি যে, আমাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। ভারত সরকারকে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, তাড়াতাড়ি আমাদের দেশে ফেরান। আমি ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা।”
মফিজুল আরও জানান, সোমবার চাঁপাই নবাবগঞ্জের আদালত সোনালি বিবিদের জামিন দেওয়ার পর রাতে পুলিশ বাড়িতে পুলিশ এসেছিল, এটা সত্যি। কিন্তু, আটক বা গ্রেপ্তার করতে নয়। বিষয়টি পুরো নিরাপত্তা সংক্রান্ত। সোমবার রাতে বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার পর রাতে থানায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরে আসেন। সবাই এখন ভালো আছেন। মফিজুলের অভিযোগ, “সুপ্রিম কোর্ট দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে। বাংলাদেশের আদালত জামিন দিয়েছে। এরপরেও ভারত সরকারের তরফে আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।”