বয়সের পরিবর্তে স্বাস্থ্য এবং দূষণের মাপকাঠিতে ১৫ বছরের বেশি পুরোনো বাস উতরোলে তবেই সেগুলি বৃহত্তর কলকাতা এলাকায় রাস্তায় ছোটার জন্য বিবেচিত হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিল উচ্চ আদালত। বাস ছাড়াও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যাত্রী পরিবহণের জন্য নির্দিষ্ট একাধিক যানচালকদের সংগঠন ওই রায়ে গাড়ির মেয়াদ বৃদ্ধির আশায় খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক ১৩ থেকে ১৫ বছর এবং তার চেয়েও বেশি পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে খরচের যে নতুন কাঠামো স্থির করেছে, তা দেখে অনেকের কপালেই ভাঁজ বেড়েছে।
ওই তালিকা অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৩ বছরের পুরনো বাস ও অন্যান্য যানের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা, ১৩ থেকে ১৫ বছর বাসের ক্ষেত্রে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, ১৫ বছর থেকে ২০ বছরের পুরনো বাসের ক্ষেত্রে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং তার চেয়েও বেশি পুরনো বাসের ক্ষেত্রে ২৭ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে বছরে দু’বার বিপুল সংখ্যক গাড়িকে ওই পরিমাণ টাকা দিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র নিতে হবে বলে খবর।
নতুন ধার্য হওয়া এই খরচ কার্যকর হলে ধুঁকতে থাকা পরিবহণ শিল্প আরও বিপাকে পড়বে বলে জানাচ্ছেন অনেকেই। অবিলম্বে ওই বর্ধিত খরচ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন এআইটিইউসি-র পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব। বিভিন্ন বাসমালিক সংগঠন ছাড়াও অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনও ওই মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
বাসমালিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, খরচের বোঝা এ ভাবে বাড়লে গাড়ির ফিটনেস শংসাপত্র নিতে গিয়ে আগের চেয়ে চার-পাঁচ গুণ টাকা বেশি খরচ হবে। যা মিটিয়ে পরিবহণ ব্যবসায় টিকে থাকা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি এবং ক্যাবচালক সংগঠনের নেতৃত্ব। ফলে, নতুন নির্দেশিকায় তাঁদের মুখের হাসি কার্যত মিলিয়ে গিয়েছে।