• পুরসভার খাম-স্ট্যাম্পে আইনি নোটিসের উত্তর, বিতর্ক পানিহাটিতে
    আনন্দবাজার | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • পুরসভার খাম ও নিজের পদের স্ট্যাম্প ব্যবহার করে আইনি নোটিসের উত্তর দেওয়ার অভিযোগ উঠল পানিহাটির উপ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। কোনও ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগে, তাঁর আইনি নোটিসের উত্তরে পুরসভার নাম ব্যবহার করা কতটা নৈতিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খোদ পুরপ্রতিনিধিদের একাংশের কথায়, ‘‘পুরসভাকে জড়ানো উচিত হয়নি।’’ আর একে ক্ষমতা জাহিরের চেষ্টা বলে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা।

    রাজনীতির ময়দানে এমনিতেই দোলাচলে রয়েছে পানিহাটি। খোদ শাসকদলেরই বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে অম্ল-মধুর সম্পর্কের কথা জেলা স্তরেও সকলে জানেন। তার মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয়ে পুরসভাকে কেন জড়ালেন উপ পুরপ্রধান সুভাষ চক্রবর্তী, তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন তাঁর সতীর্থরাই। পানিহাটির পুরপ্রধান সোমনাথ দে বলেন, ‘‘এমন একটি বিষয় শুনেছি। সুভাষদা অসুস্থ। উনি সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিন, তার পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’’

    ঘটনাটি কি? সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে ঘোলা থানার একটি মামলা সম্পর্কে প্রকাশ্যে নিজের মন্তব্য পেশ করেছিলেন সুভাষ। অভিযোগ, ওই মামলায় যুক্ত এক ব্যক্তির আইনজীবীকে ‘বডি শেমিং’ করেছিলেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৭ অক্টোবর প্রথমবার সুভাষকে আইনি নোটিস পাঠান ওই আইনজীবী। নিঃশর্ত ভাবে লিখিত ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু সুভাষের তরফে কোনও উত্তর না মেলায় গত ১৭ নভেম্বর ফের তাঁকে আইনি নোটিস পাঠান ওই আইনজীবী।

    এর পরে গত ২৭ নভেম্বর সেই নোটিসের উত্তর লিখে তাতে নিজের সইয়ের নীচে উপ পুরপ্রধানের স্ট্যাম্প দেন সুভাষ। একমাত্র পুরসভার কাজে ব্যবহৃত হওয়ার খামে সেই চিঠি ভরে ওই আইনজীবীকে পাঠান তিনি। কেন পুরসভার খাম ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হল? সুভাষ বলেন, ‘‘আইনি নোটিসে আমার নামের সঙ্গে রাজনৈতিক ও পুরসভার পদাধিকারিকের পরিচয়ও লেখা হয়েছে। আর আমি ব্যক্তি নামের থেকে দলের এবং প্রশাসনিক কারণে বেশী পরিচিত। তাই পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সব করেছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমি কারও বডি-শেমিং করিনি। আইনি পথে আমিও মোকাবিলা করব।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)