স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) শিক্ষাকর্মীদের অসম্পূর্ণ ‘দাগি’ তালিকা প্রকাশ করেছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা। এ বার ওই তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত এক দল শিক্ষাকর্মী। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত ৪৯৫ জন শিক্ষাকর্মীর (গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি) আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ির অভিযোগ, নিয়োগ তালিকায় (প্যানেল) ক্রমিক সংখ্যা টপকে, সাদা উত্তরপত্র জমা দিয়ে এবং প্যানেলের বাইরে থেকে চাকরি পাওয়া—এই তিন গোত্রে পড়েন না তাঁর মক্কেলরা। সে ক্ষেত্রে কোন যুক্তিতে মামলাকারীদের ‘দাগি’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী।
কেন তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, এসএসসি-র কাছে তা জানতে চান বিচারপতি সিংহ। উত্তরে এসএসসি-র কৌঁসুলি জানান, সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে কমিশনের কাছে থাকা প্রাপ্ত নম্বর মেলেনি। যদিও অনিন্দ্যের পাল্টা দাবি, এসএসসি তালিকা তৈরিতে ভুল করেছে এবং সেই ভুলের জন্য নতুন নিয়োগে আবেদন করতে পারছেন না মামলাকারীরা। দ্রুত 'দাগি' তালিকা পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিক আদালত, সেই আর্জিও জানান তিনি। বিচারপতি সিংহ জানান, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হবে। শিক্ষাকর্মীদের ‘দাগি’ তালিকা ঠিক পদ্ধতি ও তথ্য মেনে তৈরি হয়েছে কি না, সে দিন তিনি বিবেচনা করবেন। ইতিমধ্যেই অন্য একটি মামলায় শিক্ষাকর্মী নিয়োগে সম্পূর্ণ ‘দাগি’ তালিকা প্রকাশেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিংহ।