রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তিন বাংলাদেশি সহ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর পাঁচ সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। দোষীদের নাম মৌলানা ইউসুফ শেখ, মহম্মদ শাহিদুল ইসলাম, মহম্মদ রুবেল, জবিরুল ইসলাম এবং আনোয়ার হুসেন ফারুক। রুবেল, জবিরুল এবং আনোয়ার বাংলাদেশি। আর এক অভিযুক্ত আব্দুল কালামকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। মঙ্গলবার বিচারক রোহন সিংহ এই রায় দেন। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের এই মামলায় আজ, বুধবার দোষীদের সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা। বিচার ভবনের মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ‘‘এই সন্ত্রাসবাদীদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার আর্জি জানানো হয়েছে।’’
আদালত সূত্রের খবর, ইউসুফ, শাহিদুল, রুবেল, জবিরুল এবং আব্দুল আগেই খাগড়াগড় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা খাটছে। খাগড়াগড়-তদন্তে নেমে এসটিএফের হাত থেকে তাদের হেফাজতে নিয়েছিল এনআইএ।
আদালত সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে এই ছয় জেএমবি জঙ্গিকে বসিরহাট, বনগাঁ, অসম থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতদের কাছ থেকে বিস্ফোরক, জিলেটিন স্টিক, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, ভুয়ো পরিচয়পত্র, জেহাদি চিঠি ইত্যাদি উদ্ধার হয়। তদন্তে উঠে আসে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক ছিল জঙ্গিদের। এশিয়ার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়া, রোহিঙ্গাদের উপরে অত্যাচার—এই সব কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
মামলার সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ধৃত ছ’জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়। ইউসুফের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং বাংলাদেশি জবিরুল ও আনোয়ারের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টেও মামলা করা হয়। এই মামলায় ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।’’