নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়নি এখনও, ঘটনাস্থল নিয়ে ধন্দে পুলিশ
আনন্দবাজার | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ঠিক কোথা থেকে গাড়িতে তোলা হয়েছিল নির্যাতিতাকে? প্রগতিময়দান থানা এলাকায় যৌন নির্যাতনের পরে প্রায় ৭২ ঘণ্টা পেরোলেও ঘটনাস্থল নিয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। নির্যাতিতাকে চিহ্নিত করার জন্য বার বার ডেকেপাঠানো হলেও তিনি এসে না পৌঁছনোয় কার্যত অথৈ জলে পুলিশ। উপরন্তু, তিনি বার বার বয়ানবদল করায় তদন্তকারীদের ধন্দ আরও বেড়েছে। একাধিক বার ডাকারপরেও তিনি না আসায় ঘটনার পরে তিন দিন কেটে গেলেও এখনও ওই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্ভব হয়নি বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় ই এম বাইপাসের ধারের একটি বাসস্টপ থেকে ওই তরুণীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনেরঘটনা সামনে আসে। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনার সময়ে গাড়িতে তিন যুবক ছিল বলে অভিযোগ। তরুণীর বয়ান নথিভুক্ত করে মামলা দায়ের করেছিল প্রগতি ময়দান থানা। রবিবার আলতাফ আলম নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে বাকি দুই অভিযুক্তকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি বলে লালবাজার জানিয়েছে।
এ দিকে, নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। হাসপাতালে গিয়ে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করেন তদন্তকারীরা। এর পরে ওই তরুণী হাসপাতালথেকে ছাড়া পেলেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাকরানো সম্ভব হয়নি। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক বার ওই তরুণীকে মেডিক্যাল পরীক্ষারজন্য ডাকা হয়। যদিও তাঁকেমেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে রাজি করানো যায়নি বলেই লালবাজারের দাবি। নির্যাতিতা তাঁর ব্যাঙ্কের নথি থেকে শুরু করে অন্যান্য তথ্য পুলিশকে দিতে রাজি হননি। শুধুতা-ই নয়, বাইপাসের কোন বাস স্টপ থেকে তাঁকে গাড়িতে তোলাহয়েছিল, সেই প্রশ্নে ওই তরুণী বার বার নিজের বয়ান বদল করছেনবলেও জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। ফলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজবাজেয়াপ্ত থেকে শুরু করে পারিপার্শ্বিক তদন্ত প্রক্রিয়াও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে পুলিশকর্তারা স্বীকার করে নিয়েছেন।
শুধু নির্যাতিতাই নন, যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত আলতাফের বয়ানেও বিস্তর অসঙ্গতি রয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। ওই তরুণী তার পূর্ব-পরিচিত বলে স্বীকার করলেও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশি জেরায় দাবি করেছে ধৃত অভিযুক্ত।
লালবাজারের এক তদন্তকারী কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। আপাতত এই বাইরে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’’