• শুধু অনলাইনে কেনা টিকিটে কেন অ্যাক্সিডেন্ট ইনশিওরেন্স? প্রশ্নের মুখে রেলকর্তারা
    এই সময় | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: পরিকাঠামোগত নিরাপত্তা ও যাত্রী-সুরক্ষা নিয়ে রেলের পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে রেলকর্তারা। শীর্ষ কোর্টের বিচারপতি এহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ রেলের কাছে জানতে চেয়েছে অনলাইনে দূরপাল্লার টিকিট কাটলে যে অ্যাক্সিডেন্ট ইনশিওরেন্স কভার মেলে, অফলাইনে (কাউন্টার থেকে) সেই কভারেজ পাওয়া যায় না কেন?

    একটি রেল দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলায় নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছিল ওই বেঞ্চ। সেখানেই অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিক্রমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বেঞ্চ জানতে চায়, ইনশিওরেন্স কভারেজে নিয়মের এই ফারাক কেন? রেলের অনলাইন টিকিট বিক্রির দায়িত্ব আইআরসিটিসি-র। তারা জানাচ্ছে, এ ভাবে টিকিট কাটার সময়েই ইনশিওরেন্সের অপশন দেওয়া হয় যাত্রীদের। ইচ্ছুকদের ক্ষেত্রে ভাড়ার সঙ্গেই কভারেজ বাবদ ৪৫ পয়সা কেটে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে ১০ লক্ষ, অঙ্গহানিতে সাড়ে সাত লক্ষ এবং জখমদের আঘাতের ধরন অনুযায়ী ১০ হাজার থেকে দু'লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ইনশিওরেন্সে।

    কিন্তু অফলাইনে এই সুযোগ নেই। এই বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি রেলট্র্যাক ও লাইন পারাপারের সময়ে মানুষের নিরাপত্তায় নজর দিতে বলেছেন দুই বিচারপতি। আইআরসিটিসি জানাচ্ছে, ২০২৫-এর মাঝামাঝি পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেনে সংরক্ষিত টিকিটের ৮০ থেকে ৮৭ শতাংশই অনলাইনে কাটা হয়েছে। সে হিসেবে ধরা যেতে পারে, দূরপাল্লার ট্রেনগুলির ৮০ থেকে ৮৭ শতাংশ যাত্রীই ইনশিওরেন্সের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু যাঁরা সেটা পাননি, তাঁদের সংখ্যাও কম নয়। তাই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগেও একাধিক বার রেল জানিয়েছে, যাত্রী-নিরাপত্তাই তাদের অগ্রাধিকার। এ জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও করেছে তারা। কিন্তু দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বন্ধ হয়নি। তাই দূরপাল্লায় ইনশিওরেন্স এতটা গুরুত্বপূর্ণ।

  • Link to this news (এই সময়)