• মা হয়ে গেলেন শ্যালিকা, ভোটার তালিকায় ভুয়ো তথ্যের অভিযোগ
    এই সময় | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, তমলুক: এ বার ‘সার’ (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন) নিয়ে আর এক গেরো! ‘মা’ হয়ে গেলেন ‘শ্যালিকা’! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে তমলুক বিধানসভার ২০৯ নম্বর বুথে। অভিযোগ, ভোটার তালিকায় ভুয়ো তথ্য দিয়ে অবৈধ ভাবে নাম তুলেছেন এক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা তথা তমলুক বিধানসভার বিএলএ–১ (বুথ লেভেল এজেন্ট) মধুসূদন প্রামাণিক।

    বিএলএ–১–এর অভিযোগ, তমলুকের বিজয় নায়ক ও তাঁর স্ত্রী বৈশাখী নায়েক ২০৯ নম্বর বুথের ভোটার। ২০২৫–এর ভোটার তালিকায় দু’জনেরই নাম রয়েছে। সেই তালিকায় ২০৬ নম্বরে বৈশাখীর নাম রয়েছে। বাবার নাম ভগবান নায়েক। ২১০ নম্বরের নাম রয়েছে বিজয়ের। বাবা অভিরাম নায়েক।

    সম্প্রতি এনিউমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন বিজয় ও তাঁর স্ত্রী। সেই ফর্মে বিজয় বাবার নাম না লিখে মায়ের নাম লেখেন— তমাল নায়েক। এ দিকে, ২০০২–এর তালিকায় টিটাগড় বিধানসভার ১৩৭ নম্বর বুথে ৫৪ নম্বরে নাম রয়েছে তমাল নায়েকের। বাবার নাম ভগবান নায়ক। এ দিকে বিজয়ের স্ত্রী বৈশাখীর বাবার নামও ভগবান নায়ক। তথ্য অনুযায়ী, তমাল নায়ক বিজয়ের মা নন। বরং সম্পর্কে শ্যালিকা হয়ে যাচ্ছেন! বিষয়টি নজরে আসতেই ধন্দে পড়ে যান সকলে। তারপরেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিএলএ–১।

    বিজয়ের দাবি তমাল তাঁরই মায়ের নাম। তাঁর কথায়, ‘এখন তমলুকে থাকলেও আগে আমরা কলকাতায় থাকতাম। আর বিজেপি যে অভিযোগ তুলেছে তা একেবারে ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে কেউ বা কারা চক্রান্ত করছে।’ বিজয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা কার্তিক পাল। তিনি বলেন, ‘বিজয়ের বাবা ওদের ছেড়ে চলে যায়। সেই কারণেই মায়ের নাম ব্যবহার করে ফর্ম পূরণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে বিজয় এই এলাকাতেই বসবাস করছেন।’

    অভিযোগকারী বিএলএ–১–এর দাবি, ‘তমলুক বিধানসভার ২০৯ নম্বর বুথের ভোটার তালিকায় তথ্যগত গরমিল রয়েছে। বিজয় নায়েকের তথ্য ঠিক নয়। তাই আমি ১ ডিসেম্বর জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’

  • Link to this news (এই সময়)