আরজি করে দুর্নীতি মামলায় অভিযোগকারী ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই আখতার আলির (আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার, নন মেডিক্যাল) নামই উঠে আসে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। এ বার আখতার আলিকে সমন পাঠানোর নির্দেশ দিল আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালত। তাঁকে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পেশায় ঠিকাদার শশীকান্ত চন্দককেও সমন পাঠানো হবে।
বুধবার আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, সোমবার তারা যে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে, সেটিই চূড়ান্ত চার্জশিট। ফলে মনে করা হচ্ছে, আরজি করের দুর্নীতি মামলার তদন্ত আপাতত শেষের পথেই। বুধবার এ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি আদালতে জমা পড়েছে বলেও সূত্রের খবর।
সোমবারের অতিরিক্ত চার্জশিটের ভিত্তিতেই আখতার ও চন্দককে সমন পাঠাবে সিবিআই। শশীকান্তকে আখতার আলির বন্ধু হিসেবে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়। এ বার তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা। দুর্নীতি মামলায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সাক্ষ্য গ্রহণ আপাতত স্থগিত। বাকি প্রক্রিয়া শেষ হলে একসঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।
আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এই আখতার আলি। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন তিনি। সন্দীপকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
আখতারই রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনকে ২০২৩ সালে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন এই নিয়ে। সেখানে ১৫টি অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এর পরে তাঁকে বদলি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ২০২৪ সালে ৯ অগস্ট আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা সামনে আসার পরে, নতুন করে সামনে এই দুর্নীতির অভিযোগ। দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও সে সময়ে আখতার আলি বিস্তর অভিযোগ করেছিলেন। আপাতত সেই মামলাতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্ক্যানারে আখতার আলি।