স্বস্তিতে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা। ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে। হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রায় ঘোষণার পরে মমতা বলেন, ‘বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি। আমি খুশি যে আমাদের ভাই-বোনেদের চাকরি বহাল রয়েছে।’ ‘সত্যের জয় হলো’ বলে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরে মন্তব্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
এক্স হ্যান্ডলে ব্রাত্য লেখেন, ‘আজকের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন জানাই। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বাতিল হয়েছে। ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রইল। শিক্ষকদের সতত শুভেচ্ছা। সত্যের জয় হলো।’
২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। চাকরিপ্রার্থী প্রিয়াঙ্কা নস্কর-সহ ১৪০ জন হাইকোর্টে এই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, এই নিয়োগে একাধিক অনিয়ম হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হলেও আদতে তা হয়নি।
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের মে মাসে মোট ৩৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল করেছিলেন তৎকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, চাকরি বাতিলের সংখ্যাটা ৩৬ নয়, ৩২ হাজার। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকার।
২০১৬ সালের এসএসসির নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং গ্রুপ সি-ডি পদে নিয়োগের প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পরেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রায় রাজ্য সরকারকে অনেকটাই স্বস্তি দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।