আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-আমতা শাখায় অমানবিকতার অভিযোগ। ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর আহত এক মহিলা যাত্রী প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে রেল লাইনের পাশে পড়ে ছিলেন বলে অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, এই দীর্ঘ সময়ে ঘটনাস্থলে দেখা মেলেনি কোনও আরপিএফ বা রেল কর্মীর। এই অভিযোগও উঠেছে আহত যাত্রীকে ফেলে রেখেই চলে যান ট্রেন চালক ও গেটম্যান। অবশেষে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া-আমতা শাখার মাজু ও মহিন্দ্রলাল স্টেশনের মাঝে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৯:২০টা নাগাদ আমতা থেকে হাওড়াগামী একটি লোকাল ট্রেন থেকে পড়ে যান অজ্ঞাতপরিচয় ওই মহিলা। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ ওই মহিলা লাইনের পাশে যন্ত্রনায় ছটফট করলেও, রেলের তরফে কোনো সাহায্যের হাত আসেনি। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ শহিদুল অভিযোগ করেন, "আমি দেখলাম একজন মহিলা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছেন এবং দীর্ঘক্ষণ তিনি সেখানেই পড়েছিলেন। অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও রেলের তরফে কেউ আসেনি। ওই মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।"
আরও গুরুতর অভিযোগ তুলে শংকরহাটি ১ নম্বর অঞ্চল প্রধান শেখ বদরে আলম বলেন, "সম্ভবত সকাল ৯টা ২০ মিনিটের ট্রেনে ট্রেন থেকে পড়ে যান ওই মহিলা। এলাকার বাসিন্দারাই বিভিন্ন জায়গায় খবর দেন। মহিলা পড়ে যাবার পর গেটম্যান দেখেও কোথাও কোনও খবর দেননি। এতে রেলের চরম গাফিলতি রয়েছে।"
স্থানীয়দের অভিযোগের পরই ঘটনাস্থলে আসে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। পুলিশকর্মীরাই গুরুতর আহত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে দ্রুত জগৎবল্লভপুর হাসপাতালে নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেও একই ধরনের দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ডোমজুড়। পরপর এমন ঘটনা ঘটার পরেও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।
এলাকার মানুষের রেলের গাফিলতির অভিযোগ সম্পর্কে দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওম প্রকাশ চরণ বলেন, "মহিলাকে দেরিতে উদ্ধার হয়েছে এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। যখনই খবর এসেছে তখনই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"