আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতার বুকে আবারও পথ দুর্ঘটনা। শিকার এক স্কুলপড়ুয়া। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মানিকতলার কাছে বেঙ্গল কেমিক্যালস মোড়ে৷ এক কিশোর তার বাবার সঙ্গে স্কুটারে চেপে স্কুলে যাচ্ছিল৷ মাঝপথে আচমকা পিছন একটি লরি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে স্কুটারে। মুহূর্তে ছিটকে পড়ে কিশোর। পড়তেই লরিটি কিশোরকে পিষে দেয়৷ ঘটনা ঘিরে চরম উত্তেজনা এলাকায়৷ গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ুয়াকে উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই পড়ুয়া মাঝরাস্তায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। লরি এসে স্কুটারে ধাক্কা মারায় কয়েক হাত ছিটকে পড়ে কিশোরটি৷ অভিযোগ, লরির চালক না থেমেই এগিয়ে যায়৷ কিন্তু শেষমেশ স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ৷ এরপর স্থানীয়রা অভিযুক্ত চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷ স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, " বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল লরিটি। শেষ মুহূর্তে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বাইকে ধাক্কা মারে।" খবর মারফত জানা গিয়েছে আহত কিশোর বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র৷
এই প্রথম নয়। এর আগে একাধিকবার কলকাতার রাস্তায় দু্র্ঘটনার বলি হয়েছে স্কুলপড়ুয়ারা৷ কিছুদিন আগেই আরেক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে বরানগরে। ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে এক স্কুল পড়ুয়ার৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রের নাম অরণ্য চক্রবর্তী। সকালে সে সাইকেলে চেপে স্কুলে যাচ্ছিল৷ কাশীপুর বিটি রোড দিয়ে যাচ্ছিল সে। এমন সময় আচমকা এক বেপরোয়া বাস এসে তার সাইকেলে ধাক্কা দেয়৷ ফলস্বরূপ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় বছর ১৫ এর ওই কিশোর৷ ঘটনার জেরে বাসটিকে আটক করা হয়েছে৷ বর্তমানে চালক ফেরার৷ পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোর বরানগরের বাসিন্দা। ঘটনার দিন সকাল ১১ টা নাগাদ অরণ্য সাইকেলে চেপে বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিল৷ মাঝপথে একটি বেসরকারি বাস আচমকা তার সাইকেলে ধাক্কা দেয়৷ নিমেষে সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে অরণ্য। দ্রুত স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। আহত অরণ্যকে তড়িঘড়ি আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া৷ সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাশীপুর বিটি রোডে চরম বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী৷ ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব নজরদারি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, দিনের পর দিন বাসগুলির রেষারেষিতে প্রাণ যায় সাধারণ পথচারীদের।