'আমার ভাই-বোনরা চাকরি ফিরে পেলেন', ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহালে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা
আজ তক | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, কোর্টের এই রায়ে তিনি খুশি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় নিয়ে বলেন, 'কোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমার ভাই-বোনরা তাঁদের চাকরি ফিরে পেয়েছেন, সেজন্য খুশি।' তিনি আরও বলেন, 'মানবিক দিক থেকে এই রায় দেওয়া হয়েছে, সেজন্য আমি খুশি। শিক্ষকরা চাকরি ফিরে পেয়েছেন, তাঁদের পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে, সেজন্য আমি আনন্দিত। কথায় কথায় কোর্টে গিয়ে চাকরি খেয়ে নেওয়া, সেটা তো ঠিক নয়। আমাদের তো কাজ চাকরি দেওয়া।'
তৃণমূল সাংসদ তথা এই মামলার অন্যতম আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, এই রায়ের ফলে অনেক সত্যি সামনে এল। চাকরি খারিজ হওয়ার রায় আসলে পক্ষপাতদুষ্ট ছিল।
তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানিয়েছে, দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল করলে, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তাঁদের পরিবারের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এখন পরীক্ষা নিলেও তার প্রতিক্রিয়া ভালো হবে না। সেই কারণে ৩২ হাজার চাকরি বহাল থাকছে।
বিচারপতিরা আরও জানান, কয়েকজন অসফল প্রার্থীর জন্য গোটা প্রক্রিয়ার ক্ষতি করতে দেওয়া যেতে পারে না। তাহলে অনেক সৎ প্রার্থীর গায়ে কালির ছিটে লাগবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১২ মে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার শিক্ষকেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে শিক্ষকদের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'সেই রায় পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। এই রায় দিয়েই তো তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন। তিনি তো প্রচার চাইতেন। বিচারকের কাজ বিচার করা। যেটা কঠিন। সেটা ঠিকমতো না করে প্রচারে আসতেন।'
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'বিচার প্রক্রিয়া চলতেই পারে। এই ৩২ হাজার চাকরিতে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না তা প্রমাণ করতে পারেনি কেউ। শুধু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতি হয়েছে দাবি করে চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন। এটা ওঁর মনগড়া কথা। প্রমাণ ছাড়া বলেছিলেন। রাজনৈতিক কারণে করেছিলেন। সেটা তো ভুল। এটা কোনওদিন কাম্য নয়। কারও এভাবে বিচার করা ঠিক হবে না।'