হামাসের ধাঁচে তৈরি বোমারু ড্রোন! গ্রেপ্তার দানিশের স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিদিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাসের কৌশলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল ‘ডক্টর টেরর মডিউল’-এর। ধৃত সক্রিয় ষড়যন্ত্রকারী জসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশকে জেরা করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর সে জন্য বানানো হচ্ছিল অত্যাধুনিক এবং বোমা বহনক্ষম ড্রোন।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দানিশের ফোন ঘেঁটে এমনই তথ্য এবং ড্রোনের বেশ কিছু ছবি উদ্ধার করেছে বলে সূত্রের খবর। দানিশ ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলে নিশ্চিন্তে ছিল। কিন্তু মুছে ফেলা সব তথ্যই উদ্ধার করেছে এনআইএ। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা দানিশের ফোনের মুছে ফেলা ফোল্ডারে ড্রোন এবং রকেট লঞ্চারের কয়েক ডজন ছবি এবং ভিডিও খুঁজে পেয়েছেন।
কী ভাবে ড্রোনে বোমা ব্যবহার করা হবে, কতটা শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে, সব কিছু অ্যাপের মাধ্যমে দানিশের কাছে পাঠানো হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, ড্রোনগুলি ২৫ কিলোমিটার দূরে গিয়েও হামলা চালাতে পারবে– এমন মারণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল বলে তদন্তকারী সূত্রের খবর। তদন্তকারীদের ধারণা, হামাস যে কৌশলে গ্লাইডিং রকেট এবং ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়, ঠিক সেই কৌশলই নেওয়া হয়েছিল ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে। তদন্তকারী সূত্রের খবর, এক মিনিটে তিনটি রকেট দিয়ে হামলা চালানোর মতো ব্যবস্থারও হদিশ মিলেছে। এই রকেটগুলি মাটি থেকে অথবা হাতেও নিক্ষেপ করা যেতে পারে, যা এগুলিকে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রের একটি কম খরচের বিকল্প করে তোলে। হামাস এই ধরনের রকেট প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করে। কারণ, এগুলির প্রভাব পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় এবং দ্রুত বিস্ফোরণ ঘটায়। দানিশের ফোন থেকে বেশ কয়েকটি বিদেশি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ নভেম্বর শ্রীনগর থেকে দানিশকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ড্রোন এবং রকেট লঞ্চারে সমস্ত রকম প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং তা প্রস্তুত করতে দানিশের ভূমিকা ছিল। শক্তিশালী বোমা বহন করতে পারে এমন ড্রোন বানানোর চেষ্টা করছিল সে। ছোট, অস্ত্রবাহী ড্রোন তৈরিতে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। হামলার একজন সক্রিয় সহ-ষড়যন্ত্রকারী এবং পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য আত্মঘাতী জঙ্গি উমর উন নবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিল।