• ‘কাশী-তামিল মিলন উৎসবে শক্তিশালী এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত ভাবধারা’, মন্তব্য যোগীর
    প্রতিদিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • হেমন্ত মৈথিল, বারাণসী: আধ্যাত্মিক চর্চার পীঠস্থান কাশীতে শুরু হল চতুর্থ ‘কাশী তামিল সঙ্গমম’। ‘এক ভারত–শ্রেষ্ঠ ভারত’ ধারণাকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে এ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুপ্রেরণায় উত্তরপ্রদেশ সরকার কারিগরি শিক্ষায় তামিল, কন্নড়, মালয়ালম-সহ একাধিক দক্ষিণ ভারতীয় ভাষাকে প্রাধান্য দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগ্রহ অনুযায়ী যেকোনও ভাষা বেছে নিলে সরকার পুরো খরচ বহন করবে। এই বছরের থিম ‘তামিল কার্কলা’। শব্দটির মানে হল ‘এসো তামিল শিখি’। এই প্রয়াস জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    প্রাচীন কাশী ও তামিল ঐতিহ্যের মূল কেন্দ্রে রয়েছেন দেবাদিদেব মহাদেব। আদি শঙ্করাচার্য দেশের চারদিকে পীঠস্থান প্রতিষ্ঠা করে এই সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছিলেন। চেট্টিয়ার সম্প্রদায় ২০০ বছর ধরে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পূজার উপকরণ সরবরাহ করে আসছে।

    মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পর্যটকদের তীর্থযাত্রাকে উৎসাহিত করতে দ্রুত রামেশ্বরম, মাদুরাই এবং কন্যাকুমারীর জন্য ভর্তুকি-সহ বিশেষ ভ্রমণ কর্মসূচী চালু হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশনায় এই সঙ্গমম ভারতের সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক।

    ২,০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তামিলনাড়ুর টেনকাসি থেকে শুরু হওয়া ‘অগস্ত্য যাত্রা’ (কার র‍্যালি) এ বছরের মূল আকর্ষণ। এটি প্রাচীন পাণ্ড্য শাসক আদিবীর পরাক্রম পাণ্ডিয়ানের পথ ধরে এই ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়।

    উপ-রাষ্ট্রপতি সি.পি. রাধাকৃষ্ণণ ভার্চুয়ালি এই উৎসবকে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, কাশী বিশ্বনাথ ধাম নির্মাণের পর তামিলনাড়ু থেকেই সবচেয়ে বেশি তীর্থযাত্রী এখানে এসেছেন। এই অনুষ্ঠানে ১৩টি ভাষায় তামিল ব্যাকরণের ক্লাসিক গ্রন্থ ‘তোলকাপ্পিয়ম’-এর অনুবাদ প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, অংশগ্রহণকারীরা এই সফরে প্রয়াগরাজ ও অযোধ্যাও ঘুরে দেখবেন। অযোধ্যায় মহর্ষি অগস্ত্য এবং অন্যান্য দক্ষিণ ভারতীয় সাধুদের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে, যা উত্তর-দক্ষিণের বন্ধনকে আরও মজবুত করবে বলে বিশ্বাস।
  • Link to this news (প্রতিদিন)