‘মথুরা-জ্ঞানবাপী ছাড়ুক মুসলিমরা’, বলছেন রামমন্দিরের সমীক্ষক প্রাক্তন ASI ডিরেক্টর কে কে মহম্মদ
প্রতিদিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত তীর্থস্থান মথুরা, জ্ঞানবাপীর অধিকার ছেড়ে দেওয়া উচিত মুসলিম সম্প্রদায়ের। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুসলিমদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন ‘পরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সংস্থা’ (এএসআই)-এর প্রাক্তন রিজিওনাল ডিরেক্টর কেকে মহম্মদ। অতীতে রামমন্দিরের সমীক্ষা করা প্রাক্তন এই আধিকারিকের বার্তা সামনে আসার পর চর্চা শুরু হয়েছে।
কৃষ্ণ জন্মস্থান মথুরা ও জ্ঞানবাপী আসলে হিন্দুদের পবিত্র মন্দির। পরে সেগুলি ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করে মুসলিম শাসকরা। মন্দির ফেরত পেতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে হিন্দু সংগঠনগুলি। আদালতে এই ইস্যুতে মামলাও চলছে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই প্রাক্তন ওই এএসআই কর্তা বলেন, “মন্দির নির্মাণের জন্য এই জায়গা হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত মুসলিমদের। মথুরা ও কাশী হিন্দুদের জন্য ততটাই পবিত্র, যতটা মুসলিমদের কাছে মক্কা-মদিনা।” পাশাপাশি হিন্দুদের উদ্দেশে পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, “হিন্দুদেরও অযোধ্যা, বারাণসী এবং মথুরার বাইরে অন্যান্য মসজিদগুলি নিজেদের বলে দাবি না করাই উচিত।”
শুধু তাই নয় প্রাক্তন ওই আধিকারিকের দাবি, হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেই আজও ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আধিকারিকের কথায়, “ভারত আজও একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। কারণ, এই দেশে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। যদি এই দেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হত তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ কোনওভাবেই থাকত না।”
উল্লেখ্য, কেকে মহম্মদ অবসর নেওয়ার আগে এএসআই-এর নর্থ জোনের রিজিওনাল ডিরেক্টর ছিলেন। ১৯৭৬ সালে বাবরি মসজিদে খননকাজ চালানো সেই বিবি লাল টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। কেকে-র রিপোর্টের ভিত্তিতেই ২০১৯ সালে অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, জানা যায়, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ যখন আগ্রা সফরে এসেছিলেন তাঁকে তাজমহল ঘুরিয়ে দেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল এই প্রত্নতত্ত্ববিদের ওপর। এছাড়া বারাক ওবামার ভারত সফরে দিল্লির বিভিন্ন প্রত্নকীর্তিতে তাঁর ‘ট্যুর গাইড’ও ছিলেন কেকে মহম্মদ।