• আজই ৩২ হাজার চাকরি মামলায় রায়, নিরাপত্তা বাড়ল কলকাতা হাই কোর্টের
    প্রতিদিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার অর্থাৎ আজ প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি সংক্রান্ত মামলার (Primary TET Case) রায়দান হতে চলেছে। দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রাখে। বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ মামলাটি রায়দানের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তার আগে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কলকাতা হাই কোর্ট চত্বরকে। প্রত্যেক গেটে বাড়তি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার দায়িত্বে কলকাতা পুলিশের একজন এসি পদমর্যাদার আধিকারিক থাকছেন বলেও জানা গিয়েছে। রায় ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আগে থেকে সতর্ক কলকাতা পুলিশ। 

    বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রায় ৪২৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তাতেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালের মে মাসে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে চাকরি বাতিলের পরও তাঁদের কর্মরত থাকতে বলা হয়। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তাতে যোগ্য ও উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চাকরি বহাল থাকবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতির সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে।

    ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, একক বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকছে। কিন্তু পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। একক বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য ও পর্ষদ। তাদের অভিযোগ, সমস্ত পক্ষের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তারপরই মামলাটি হাই কোর্টে পাঠানো হয়। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ডিভিশন বেঞ্চকে সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনতে হবে। মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আসে। ১২ ই নভেম্বর মামলাটি শুনানি শেষ করে রায়দানের জন্য স্থগিত রাখা হয়। এই অবস্থায় আজ রায় আদালত কী জানায় সেদিকেই নজর সবার। শুধু তাই নয়, ৩২ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ কোনদিকে গড়ায় সেদিকেও নজর সবার।
  • Link to this news (প্রতিদিন)