• মদ, মাদক, পরকীয়া - রাজ্যপালের নাতির বিরুদ্ধে পণের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ স্ত্রীর
    এই সময় | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • কর্নাটকের রাজ্যপালের নাতি দেবেন্দ্র গেহলটের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ তুললেন তাঁর স্ত্রী দিব্যা গেহলট। শুধু তাই নয়, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, এমনকী শিশু কন্যাকে অপহরণের অভিযোগে মধ্যপ্রদেশের রতলামের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেবেন্দ্র এবং তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র গেহলট।

    দিব্যার বাপের বাড়ি রতলামে। আর শ্বশুরবাড়ি মধ্যপ্রদেশের নগদায়। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনায় দেবেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেই অনুষ্ঠানে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমানে কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওরচাঁদ গেহলট, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন-সহ বহু বর্ষীয়ান নেতা-মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

    FIR-এ দিব্যার অভিযোগ, বিয়ের আগে থেকেই মদ এবং মাদকে আসক্ত ছিলেন দেবেন্দ্র। একাধিক মহিলার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরে তিনি সব জানতে পারেন। এর পরেই তাঁর উপরে মানসিক নির্যাতন শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সঙ্গে বাপের বাড়ি থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে আসার জন্য তাঁকে মারধর করা হতো বলেও অভিযোগ।

    ২০২১ সালে অন্তঃসত্ত্বা হন দিব্যা। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, ‘অনেক সময়ে খেতে দিত না, মারধর করত।’ FIR-এ চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। দিব্যার অভিযোগ, সেই দিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরেই তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন দেবেন্দ্র। সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আজ টাকা না আনলে তোকে মেরেই ফেলব।’ এর পরে তিনি দিব্যাকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলা দেন বলে অভিযোগ।

    দিব্যা কাঁধ, কোমর এবং মেরুদণ্ডে গুরুতর চোট পান। কিন্তু সারারাত তাঁকে ওই অবস্থায় ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। পরের দিন সকালে তাঁকে নগদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ইন্দোরের হাসপাতালে রেফার করে দেন। দিব্যার দাবি, তাঁর বাবা-মাকে ঘটনার কথা জানানো হয়নি। পরে জোর করে তাঁর বাবাকে পুরো চিকিৎসার খরচ দিতে বাধ্য করা হয়।

    তবে দিব্যার সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা তাঁর মেয়ে। দিব্যার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোর করে তাঁর ৪ বছরের মেয়েকে আটকে রেখেছে। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয় না। বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনলে মেয়েকে পাবে না বলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে FIR-এ দাবি করেছেন দিব্যা। এই প্রসঙ্গে দেবেন্দ্রর বাবা জিতেন্দ্র বলেন, ‘অভিযোগ করা সহজ। যথা সময়ে সব তথ্য মিডিয়ার সামনে পেশ করব।’

  • Link to this news (এই সময়)