বাংলার বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি, সংসদের ভিতর ও বাইরে সরব তৃণমূল কংগ্রেস
বর্তমান | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ শুরু হবে বলে সংসদে জানিয়েছে কেন্দ্র। যদিও তা কবে থেকে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তাই যতক্ষণ না কাজ শুরু হচ্ছে এবং বকেয়া মিটছে, ততক্ষণ মোদি সরকারের উপর চাপ বজায় রাখবে তৃণমূল। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সুযোগ পেলেই সরকারকে বাংলার বকেয়া মেটানোর জন্য চাপ দেওয়া হবে। সংসদ চত্বরে ধর্ণা বিক্ষোভ তো হবেই। সেইসঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব, জিরো আওয়ার, কোনও বিলের ওপর আলোচনাই বা অন্য কোনও বিষয়ে চর্চা-সুযোগ মতো বাংলাকে বঞ্চনার বিষয়টি তোলা হবে বলে ঠিক করেছে তৃণমূলের সংসদীয় দল।
সেই মতো বুধবার সকালে সংসদ চত্বরে প্রথমে ‘প্রেরণা স্থলে’ মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে, পরে পুরনো সংসদ ভবনের প্রধান ফটকের সামনে মনরেগার পাশাপাশি বাংলার বকেয়া মেটানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার, মহুয়া মৈত্র, নাদিমুল হক, মিতালি বাগের মতো দলের ২৩ জন সাংসদ। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার বকেয়া মেটানোর দাবিতে সরব হন তাঁরা।
একইভাবে লোকসভার জিরো আওয়ারে মনরেগার টাকা মেটানো এবং এখনই কাজ শুরুর দাবি জানান জুন মালিয়া। রাজ্যসভায় দোলা সেন রাজভবনের নাম লোকভবন করার প্রসঙ্গে বলার সুযোগ পেয়েই তোলেন বাংলার বকেয়া প্রসঙ্গ। কোন প্রকল্পে কত টাকা মোদি সরকারের কাছে পাওনা তা বলতে শুরু করে দেন। এতে অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, বিষয়ের বাইরে কেন বলা হচ্ছে? সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিতে হবে। পালটা তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, বাংলার হকের টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। আর তা বললেই অসুবিধে? আসলে বাংলাকে বঞ্চনাই করতে চায় মোদি সরকার। পাশে দাঁড়ান রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বলেন, বিরোধীদের বক্তব্যের ওপর বুলডোজার চালানো হচ্ছে।
সংসদ চত্বরে এদিন কেন্দ্রের শ্রম আইনেরও বিরোধিতা করে হয় বিক্ষোভ। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে সহ সমগ্র বিরোধীরাই অংশ নেয় প্রতিবাদ বিক্ষোভে। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের ডাকা ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে তূণমূল যায়নি। তবে কেন্দ্র বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। যেখানে স্লোগান ওঠে, শ্রমিক স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে হবে। নির্বাচনী সংস্কারের মোড়কে হলেও এসআইআর নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে সরকার। সেজন্য এদিন লোকসভার অন্দরে বিরোধীদের কোনও বিক্ষোভ হয়নি। হয়েছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। পাশও হয়েছে ‘দ্য সেন্ট্রাল এক্সাইজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৫। ছবি: পিটিআই