সংবাদদাতা, বনগাঁ: নাবালিকা মেয়েকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ এনে কয়েকজন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মাস খানেক আগে থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা। তারপর থেকে সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার চাপ আসছিল। তাতে রাজি হয়নি নির্যাতিতার পরিবার। ফলে প্রতিবেশীদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। বুধবার অভিযোগকারিণীর বাড়িতে চড়াও হয় প্রতিবেশী মহিলারা। বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। দরজা ভাঙা হয়। নাবালিকা ও তার মাকে ঘর থেকে বের করে গাছে বেঁধে মারধর করে অভিযুক্তরা। মহিলার দাবি, বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তাঁরা। নাবালিকার মায়ের চুল কেটে নেওয়া হয়। তিনি ফের থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তিন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুনীতা দাস, মিলি সরকার এবং শিউলি সরকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে গাইঘাটা থানার বাসিন্দা এক মহিলা মেয়েকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ করেন কয়েকজন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু প্রতিবেশীরা মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দিচ্ছিল। বুধবার সকালে এলাকার কয়েকজন মহিলা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। থানায় দায়ের করা অভিযোগ তুলে নিতে বলে। মহিলা এবং তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ঘর থেকে বের করে গাছে বেঁধে মারধর করে মহিলার চুল কেটে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর ফের থানায় অভিযোগ করেন তিনি। যদিও স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলা ও তাঁর নাবালিকা মেয়ে বাড়িতে অবৈধ কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রায়ই এক যুবক ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করে। এমনকি মাঝেমধ্যে অপরিচিত যুবক-যুবতি ওই বাড়িতে এসে থাকে। প্রতিবেশীদের দাবি, এই ঘটনার প্রতিবাদ করার ফলেই মাসখানেক আগে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। আমরা থানায় গিয়ে মহিলার কুকীর্তির কথা জানিয়ে এসেছি। পাড়ায় এই ধরনের ঘটনা চলতে দেওয়া যায় না। মহিলা ইচ্ছাকৃত ভাবেই আমাদের ফাঁসাতে চাইছে।