সিঙ্গুর-চন্দননগর সংযোগকারী নতুন ব্রিজের কাজ শুরু শীঘ্রই
বর্তমান | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শীঘ্রই শুরু হবে সিঙ্গুরের নোয়াপাড়ার সঙ্গে চন্দননগরের বিলকুলি এলাকার সংযোগকারী সেতু। ব্রিজটি হবে সরস্বতী নদীর উপর। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এই সেতু তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। বুধবার সেই সেতু নির্মাণের ছাড়পত্র এসেছে। দ্রুত ডিপিআর তৈরি করে এবং দরপত্র ডেকে এই কাজ চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর। নতুন সেতুটি চালু হলে উপকৃত হবেন অন্তত ৫০ হাজার এলাকাবাসী। এখানে পুরনো সেতুটি ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়ায় তার উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছিল সিঙ্গুর, হরিপাল ও চন্দননগরের একটি বড় অংশের বাসিন্দাদের। সমস্যায় পড়েছিলেন কৃষকরাও। কারণ, চন্দননগরের খলিসানি বাজারে নিজেদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে যেতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল তাঁদের। ফলে এই সেতু তৈরি তাঁদের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি সেতুটি দিয়ে চন্দননগর বাজার ছাড়াও ভদ্রেশ্বর বাজারে পৌঁছনোও কৃষকদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। আবার, জিটি রোড এবং দিল্লি রোডে পৌঁছে যাওয়া যাবে খুব কম সময়ে।
হরিপালের কাশীপুরের বাসিন্দা প্রদ্যুৎ মাইতি বলেন, এই সেতু বিস্তীর্ণ এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বদলে দেবে। এটা আমাদের কাছে সামান্য একটি সেতু নয়, আর্শীবাদের মতো। মাঠ থেকে অন্যত্র ফসল নিয়ে যাওয়া কৃষকের জন্য বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ। ধান বা কাঁচা সবজি টাটকা পৌঁছতে হয়। তবেই বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়। এই সেতু তৈরি হলে দূরবর্তী এলাকায় যাওয়া সহজ হবে। সময় কম লাগবে। তাতে যেমন পরিবহণ খরচ বাঁচবে, পাশাপশি ফসলের ভালো দামও পাওয়া যাবে।
সেতুটি তৈরি হবে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে। এদিন নাবার্ডের তরফে সেই ছাড়পত্রও পঞ্চায়েত দপ্তরে এসে পৌঁছেছে বলেই সূত্রের খবর। এই সেতু ছাড়াও সিঙ্গুরে এবং হরিপালে একটি করে রাস্তা তৈরির ছাড়পত্রও এসেছে। আবার, মুর্শিদাবাদের কাবিলপুরের রাস্তার ছাড়পত্রও পঞ্চায়েত দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছে নাবার্ড। অন্যদিকে, ফের রাজ্যজুড়ে পূর্তদপ্তরের অধীনে থাকা প্রায় ১,৩০০-র বেশি সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজ করার জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থা বেছে নিতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নবান্ন।