নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খিদিরপুর অরফ্যানগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর শহরের বিভিন্ন পুর-বাজারের ফায়ার অডিটের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরসভা। শহরের ৫৩টি পুর-বাজারের উন্নয়ন এবং অগ্নি নির্বাপণের আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়। তার আগে দমকলকে বিভিন্ন বাজারের ‘ফায়ার অডিট’ করতে বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাজারগুলিতে দমকল এবং পুরসভার আধিকারিকরা পরিদর্শন শুরু করেছেন। আগেই ১৩টি বাজারে সার্ভে শেষ হয়েছে। তার রিপোর্টও জমা পড়েছে পুরসভায়। এবার আরও পাঁচটি বাজারের সমীক্ষা শেষ হয়েছে। শীঘ্রই পুরসভাকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবে দমকল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাঁচটি বাজারের (সখেরবাজার সুপার মার্কেট, ম্যান্টন সুপার মার্কেট, পৌর পণ্য বীথিকা মার্কেট, শিবরামপুর মিউনিসিপ্যাল মার্কেট ও এস এন রায় রোড সুপার মার্কেট) ফায়ার-অডিট করা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুর-আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এই বাজারগুলিতে অগ্নি-নির্বাপণ পরিকাঠামোর হাল খতিয়ে দেখেছে দমকল। কোথায় কোথায় নতুন কী কী তৈরি করতে হবে, সেগুলিও সরেজমিনে পর্যালোচনা হয়েছে। এর আগে কলেজ স্ট্রিট, বাঁশদ্রোণী, লেক রোড, নিউ আলিপুর, পার্ক সার্কাস, গড়িয়াহাট, বকুলতলা সহ ১৩টি মার্কেটে সমীক্ষা হয়।
বাজারে বা রাস্তার ধারে কোথায় জলের উৎস তৈরি করা হয়েছিল, সেগুলি এখনও কতটা সক্রিয়—এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেয়র বলেন, ‘কলকাতার অনেক বাজার নিয়েই চিন্তার কারণ রয়েছে। শহরের মধ্যে একাধিক বাজার অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে। পুরোনো বেশ কয়েকটি বাজারের ভিতরের রাস্তা সংকীর্ণ। দমকলকে তাই সব বাজারেরই ফায়ার অডিট করতে বলা হয়েছে। আগুন লাগলে কোন দিক দিয়ে ঢুকবে দমকলের গাড়ি, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে আটকে পড়া লোকজনকে কীভাবে উদ্ধার সম্ভব—সবটাই খতিয়ে দেখছে তারা। দমকল থেকে যে নির্দেশ আসবে, পুরসভা সেই মতো কাজ করবে। কোথায় স্থায়ী পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে হবে, কোথায় ডিপ টিউবওয়েল, কোথায় রিজার্ভার, এসব তারাই জানাবে আমাদের।’ পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘আগেই ১৩টি বাজার নিয়ে দমকল রিপোর্ট দিয়েছে। সেই অনুসারে আমরা পদক্ষেপ করছি। এবার আরও পাঁচটি বাজারের ফায়ার-অডিট করা হল। রামলাল মিউনিসিপ্যাল মার্কেট ও সন্তোষপুর মিউনিসিপ্যাল মার্কেটেরও সার্ভে হবে। তাদের প্রস্তাব বা পরামর্শ অনুযায়ী পুরসভার বাজারগুলিতে অগ্নি সুরক্ষার কাজ হবে। সেখানে নিয়মিত দমকলের মক ড্রিল আয়োজন করতে বলেছেন মেয়র।’