• SIR-এর চাপে জনমুখী প্রকল্প ব্যাহত না হয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ২৩ আধিকারিকের টিম নবান্নর
    প্রতিদিন | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআর-এর চাপে যাতে জনমুখী প্রকল্পের কাজ ব্যাহত না হয়, তার জন্য আগেই ডিএম-সহ জেলাস্তরের আধিকারিকদের আগেই সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ প্রকাশ করে সেই বক্তব্য আরও স্পষ্ট করে দেন মমতা। জানিয়ে দেন, কাজে নজরদারির জন্য জেলায় জেলায় যাবেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দেন, এর জন্য শীর্ষ আধিকারিকদের বিশেষ দল গড়ে দেওয়ার।

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বুধবারই রাজ্যের ২৩ শীর্ষ পর্যায়ের আইএএস-দের নিয়ে এই পর্যবেক্ষক দল তৈরি করে নির্দেশিকা জারি করে দিল রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিবের স্বাক্ষর করা সেই নির্দেশ অনুযায়ী, কোন আইএএস কোন জেলায় যাবেন তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যসচিব ওই নির্দেশ জানিয়েছেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের যে কাজ চলছে, পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্প বাস্তবায়িত করা, আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানের অধীনে পরিচালিত কাজ তদারকি করার লক্ষ্যে এবং জনসাধারণের অভিযোগের প্রতিকার পর্যবেক্ষণের জন্য, রাজ্য সরকারের সিনিয়র অফিসারদের জেলাগুলিতে মোতায়েন করা হচ্ছে।

    জেলায় গিয়ে এই অফিসাররা কী করবেন, সে বিষয়েও মুখ্যসচিব দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। মনোজ পন্থের নির্দেশ, সিনিয়র আমলারা জেলাগুলি পরিদর্শন করবেন এবং নির্ধারিত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। প্রকল্পগুলির কাজ নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবেন। কোথাও প্রকল্পে দেরি হলে বা মানুষের কোনও অভিযোগ থাকলে তার দ্রুত এবং নিশ্চিত সমাধান করবেন। জনঅভিযোগের নিষ্পত্তি যাতে সঠিক সময়ে ও যথাযথভাবে হয়, তার জন্য বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে নবান্নে ফিডব্যাক, রিপোর্ট ও সুপারিশও পাঠাবেন এই শীর্ষ আধিকারিকরা।

    প্রশাসনিক মহলের মতে, সামনের বছরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দ্রুত সরকারি প্রকল্পগুলির কাজ সেরে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে কোনও দীর্ঘসূত্রতা চান না মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা দ্রুত ও ভালো কাজ করবেন, তাঁদের পুরস্কৃত করবে রাজ্য সরকার।

    কে কোন জেলায় তা ইতিমধ্যেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভায় শান্তনু বসু, পূর্ব মেদিনীপুরে বিনোদ কুমার, পশ্চিম মেদিনীপুরে মণীশ জৈন, পুরুলিয়ায় সঞ্জয় বনশল, ঝাড়গ্রামে ছোটেন ডি লামা, বাঁকুড়ায় রশ্মি কমল, আলিপুরদুয়ারে কৌশিক ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়িতে দুষ্মন্ত নারিয়াল, দার্জিলিং-এ মৌমিতা গোদারা বসু, কোচবিহারে রাজেশকুমার সিনহা, কালিম্পং-এ সৌমিত্র মোহন, উত্তর দিনাজপুরে শুভাঞ্জন দাস, মালদায় পি উলাগানাথন, দক্ষিণ দিনাজপুরে সুরেন্দ্র গুপ্ত, মুর্শিদাবাদে পি বি সেলিম, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নারায়ণস্বরূপ নিগম, হাওড়ায় অন্তরা আচার্য, নদিয়ায় রাজেশ পাণ্ডে, উত্তর ২৪ পরগনায় পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, হুগলিতে ওঙ্কার সিং মীনা, বীরভূমে শরদকুমার দ্বিবেদী, পূর্ব বর্ধমানে বন্দনা যাদব, পশ্চিম বর্ধমানে বরুণকুমার রায়। এদিনই আরও ১৪ জনের একটি টিম গঠন করা হয়েছে যাঁরা ওই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে
    রিপোর্ট দেবেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)