অর্ণব আইচ: এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল গিরিশ পার্ক এলাকায়। মৃত ওই যুবকের নাম সৌম্যদিত্য কুণ্ডু। গত কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাইলটের ট্রেনিং নিয়ে ফেরেন ওই যুবক। পরিবারের দাবি, এরপর থেকেই তিনি চুপচাপ ছিলেন। বুধবার গিরিশ পার্কের একটি বাড়ির পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সৌম্যদিত্যের দেহ। কিন্তু কেন এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্তে গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ।
তবে সৌম্যদিত্যের ব্যবহৃত ট্যাবের একটি লেখা ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ট্যাবের পিছনে সাদা কাগজে লেখা ‘LOST’। কিন্তু কেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কেন এমন লিখলেন হবু পাইলট? সেটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। মানসিক অবসাদ নাকি এর পিছনে অন্য কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গিরিশ পার্ক মেট্রোর কাছে যে বাড়ি থেকে সৌম্যদিত্যের দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি তাঁদের পৈতৃক ভিটে। কেউই প্রায় সেখানে থাকতেন না। মাঝেমধ্যে যাতায়াত ছিল সৌম্যদিত্যের। পরিবারের দাবি, বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সৌম্যদিত্য ঘরে না ফেরায় সন্দেহ তৈরি হয়। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এরপর মধু রায় লেনের ওই বাড়ির তালা ভেঙে সৌম্যদিত্যের পরিবার। ছেলের মৃত্যুতে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। কেন এই ঘটনা তা কিছুই বুঝতে পারছেন না। যদিও তাঁরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর থেকেই চুপচাপ থাকত। এজন্য একজন চিকিৎসককেও দেখানো হয়েছিল। কিন্তু এমন পরিণতি হবে তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি বলেই দাবি পরিবারের।
শুধু তাই নয়, হবু পাইলটের ব্যবহৃত ট্যাবের পিছনে লেখা ‘LOST’ শব্দ ঘিরে ধোঁয়াশায় পরিবারও। কেন এমন তিনি লিখেছেন তা তাঁরাও জানেন না বলে দাবি। পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ট্যাবটি সবসময় লক থাকত। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই সেটি খোলা। প্রশ্ন উঠছে, ট্যাবের মধ্যেই লুকিয়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর।