• ভোটার তালিকা: সমস্যায় পড়েছেন বাড়ি বদলানো ভাড়াটেরা
    এই সময় | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • দেবাশিস দাস

    ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (সার)-এর ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন কলকাতায় ভাড়াবাড়িতে থাকা বাসিন্দারা। এখন কলকাতা বা শহরতলিতে বাড়িওয়ালারা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ঘর ভাড়া দেন না। ভাড়াটেরা ১১ মাসের চুক্তিতেই ঘর ভাড়া নেন। কোনও ভাড়াটে যদি ১১ মাস পরে বাড়ি না বদলান, তবে ফের তাঁকে সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালার সঙ্গে নতুন করে পরবর্তী ১১ মাসের চুক্তি করতে হয়। যাঁরা তার পরে বাড়ি বদলে অন্যত্র চলে যান, সেই ভাড়াটেরা বিশেষ ভাবে সমস্যায় পড়ছেন ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে। কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক কাউন্সিলার জানাচ্ছেন, প্রতিদিন সকালে অফিস খুললেই অনেকেই এসে বাড়ি বদলের কথা জানাচ্ছেন, তাঁরা জানতে চাইছেন নতুন জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার কী কী পদ্ধতি রয়েছে।

    রাসবিহারী এলাকায় ভাড়া থাকতেন স্বরূপ জানা। সম্প্রতি তিনি বাড়ি বদলে শ্যামবাজারে থাকতে শুরু করেছেন। তাঁর কথায়, 'ভোটার তালিকায় নতুন করে নাম তোলার প্রক্রিয়া শুরু হলে আমাকে আবার আবেদন করতে হবে। এতদিন আমরা পুরোনো জায়গায় ভোট দেওয়ার সুযোগ পেতাম।' কসবা থেকে বাড়ি বদল করে ঠাকুরপুকুরে গিয়ে একই সসম্যায় পড়েছেন রনি সাহাও। তাঁর কথায়, 'নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ফের আবেদন করতে হবে ভেবেই কেমন লাগছে!' এ নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'কলকাতায় এই সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই বাড়ি বদল করার পরে সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের নতুন জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্যে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করতেই হবে। পুরসভা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।'

    বিভিন্ন সময়ে ভাড়াবাড়ি বদল করতে গিয়ে ভোটার-আধার-প্যান কার্ড বা বার্থ-ডেথ সার্টিফিকেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়েও বেশ কিছু মানুষের কার্যত মাথায় হাত পড়েছে। 'সার' আবহে তাঁরা কী করবেন, এই সব নথি কী ভাবে দ্রুত উদ্ধার করবেন- সেই রাস্তা খুঁজতেও কাউন্সিলার এবং বিধায়কদের অফিসে দৌড়চ্ছেন অনেকে। এসএন ব্যানার্জি রোডে কলকাতা পুরসভার সদর কার্যালয় এবং শহরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বরো অফিসেও প্রতিদিন এমন অসহায় মানুষের ভিড় বাড়ছে। একাধিক পুরকর্মী জানাচ্ছেন, হারানো নথি ফিরে পেতে দিনভর কার্যত ছুটে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। এই সব হারানো নথি ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়া জানা না থাকায় পুরকর্মীরাও সদুত্তর দিতে পারছেন না।

  • Link to this news (এই সময়)